সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বাড়িতে নিত্যপুজোই হোক কিংবা অতিথি অ্যাপায়ন, বাঙালির জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ মিষ্টি৷ বাবা হওয়ার আনন্দে শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি৷ কিন্তু, সেই মিষ্টি পছন্দ হয়নি শাশুড়ি৷ জামাইকে দু’চার কথা শুনিয়েও দেন তিনি৷ শেষপর্যন্ত অপমানে আত্মহত্যা করলেন ওই ব্যক্তি৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম৷
[মনসাপুজোর মেলা দেখতে গিয়ে মারধর, অপমানে নদীতে ঝাঁপ যুবকের]
মৃতের নাম সন্তু দাস৷ তাঁর বাড়ি কেতুগ্রামের মেলে গ্রামে৷ বছর দেড়েক আগে স্থানীয় পাঁচুয়া গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সন্তু৷ সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর, তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যান বাপের বাড়ি লোকেরা৷ দিন কয়েক আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সন্তুর স্ত্রী৷ পরিবারের লোকেদের দাবি, বাবা হওয়ার আনন্দে মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সন্তু৷ শুধু বাপের বাড়ির লোকেদেরই নয়, তাঁদের পাড়া-প্রতিবেশীদেরও মিষ্টিমুখ করাতে চেয়েছিলেন বছর কু়ড়ির ওই যুবক৷ কিন্তু, তাঁর শাশুড়ির মিষ্টি পছন্দ হয়নি বলে অভিযোগ৷ মৃতের দাদা শ্যামল দাস জানিয়েছেন, “শাশুড়ি বলে এই মিষ্টি পচা। কী করে বিলি করব! পাড়া-পড়শির কাছে মুখ দেখানো যাবে না।‘ শাশুড়ির গঞ্জনায় অপমানিত বোধ করেন সন্তু৷ রাতে নিজের বাড়িতে ফিরে কীটনাশক খান তিনি৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সন্তু দাসকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে৷ পরে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ কিন্তু, তাঁকে বাঁচানো যায়নি৷ শনিবার ভোরে মারা যান সন্তু দাস৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
[ কেরলে হড়পা বানের কবলে বাঙালি, তলিয়ে গেলেন নদিয়ার যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.