সৌরভ মাজি, বর্ধমানঃ নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। দুটি সন্তানও হয়। কিন্তু গত মাস চারেক ধরে স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না, স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ফিরিয়ে আনতে গেলে উলটে ওই মহিলা স্বামীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত দুই শিশুপুত্র নিয়ে রেললাইন ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মঙ্গলবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের মশাগ্রাম স্টেশনের কাছে রেললাইনে তিনজনেরই ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করল জিআরপি।
[ সম্পত্তি হাতাতে মহিলার বাড়ি পুড়িয়ে দিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা]
মৃত যুবকের নাম রাকেশ সিং। বাড়ি, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ময়নাপুর গ্রামে। তাঁর দুই ছেলে। একজনের বয়স পাঁচ, আর একজনের দুই। তাদের নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাকেশ। এদিকে স্বামী ও দুই ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েও শ্বশুরবাড়িতে ফেরেননি রাকেশের স্ত্রী লক্ষ্মী। এমনকী, হাসপাতালেও যাননি তিনি। আত্মঘাতী ওই যুবকের বাড়ির লোকের অভিযোগ, লক্ষ্মীর সঙ্গে অশান্তির জেরেই এই করুণ পরিণতি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে রেলপুলিশ। তবে রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রাম স্টেশন লাগোয়া ময়নাপুরের দিঘির পাড় এলাকার বাড়ি রাকেশের। ৬ ভাইয়ের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে ছোট। স্ত্রী লক্ষ্মীকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রাকেশ। তাঁর বাবা দিলীপ সিং জানিয়েছেন, মাস চারেক আগে কালীপুজোয় বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে রাকেশের সঙ্গে লক্ষ্মীর বিবাদ বাধে। রাকেশ কালো বলে ইদানিং তাকে পছন্দও হচ্ছিল না স্ত্রীর। মাস তিনেক আগে ফের মাসির বাড়ি যাওয়ার নাম করে ফের বাপের বাড়ি চলে যান লক্ষ্মী। পরে ঘটনাটি জানতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন রাকেশ। কিন্তু লক্ষ্মী ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকেদের দাবি, কয়েক মাস ধরে রাতে দাদুর কাছে শুচ্ছিল রাকেশের দুই ছেলে। কিন্তু, সোমবার রাতে আচমকাই দুই ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন রাকেশ। গভীর রাতে কখন যে তাদের নিয়ে ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, তা টেরই পাননি পরিবারের লোকেরা।
[ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে বেঘোরে মৃত্যু দম্পতির, শোকের ছায়া পাণ্ডবেশ্বরে ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.