Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরকীয়ার জের, বউদিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী দেওর

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Man commit suicide after murder his sister in law in Nadia

ছবি: প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 2, 2020 7:45 pm
  • Updated:May 2, 2020 7:59 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নিজের বউদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বউদি ও দেওরের নাম যথাক্রমে কাজলি সরকার ও অনিন্দ্য সরকার ওরফে অর্ণব। কাজলির বয়স প্রায় পঁচিশ বছর। প্রায় একই বয়স দেওর অনিন্দ্য ওরফে অর্ণব সরকারের।

দশ বছর আগে অনিন্দ্রর দাদা পেশায় নির্মাণ কর্মী লিটন সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাজলির। বর্তমানে তাঁদের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নির্মাণ কর্মী হিসাবে কাজ করতেন অনিন্দ্রও। যদিও বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সুন্দরী বউদির দিকে কুনজর পড়েছিল অবিবাহিত দেওর অনিন্দ্যর। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় বছর পাঁচেক ধরেই বৌদির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে অনিন্দ্য। বিষয়টি বাড়ির লোকজনের অনেকেই জেনেও ফেলেন। যদিও তা নিয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করতেন না বলে অভিযোগ। পুলিশের অনুমান, শেষপর্যন্ত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দেওর ও বউদির। তবে ইদানিং অনিন্দ্যর বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেন তাঁর বাড়ির লোকজন। শুক্রবার অনিন্দ্যর জন্য মেয়ে দেখতেও যান তাঁরা। অবশ্য তার আগে কাজলি সরকারকে দেওরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার জন্য বোঝানো হয়। বাড়ির লোকের কথা মেনে দূরে দূরেই থাকছিলেন কাজলি। বউদিকে নিজের প্রয়োজনে ডেকেও সাড়া পাচ্ছিলেন না দেওর অনিন্দ্য। আর সেই কারণে বউদির উপরে জমে উঠেছিল একরাশ ক্ষোভ।

Advertisement

murder

[ আরও পড়ুন: দিল্লিতে মৃত্যু হলদিয়ার ক্যানসার রোগীর, বাংলায় প্রবেশের মুখে ৬ ঘণ্টা আটকে অ্যাম্বুল্যান্স ]

অনুমান, সম্ভবত সেই কারণেই বউদিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করেছে দেওর। যদিও কাজলী সরকারের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ‘প্রায় পাঁচ বছর ধরে কাজলিকে অত্যাচার করতেন অনিন্দ্য। সব জেনেও কোন প্রতিবাদ করতেন না কাজলির স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘর থেকে টেনে এনে বউদিকে হাঁসুয়ার মতো কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় দেওর অনিন্দ্য। রক্তাক্ত অবস্থায় কাজলি সরকারকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু ঘটেছে কাজলির।

এদিকে বউদিকে খুনের পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় অনিন্দ্য। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোন খোঁজ পাননি বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। যদিও দেওরের সঙ্গে অনিন্দ্যর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা মানতে নারাজ কাজলির বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, ‘প্রায় বছর পাঁচেক ধরেই কাজলিকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন দেওর অনিন্দ্য। তাতে রাজি না হওয়ায় রাগের চোটে তিনি এই খুন করেছেl তারপর আত্মহত্যা করেছে।’ পুলিশের কাছে কাজলি সরকারের বাপের বাড়ির লোকজন কাজলির স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেনl যদিও ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

[ আরও পড়ুন: বাংলা থেকে গ্রেপ্তার ফেরার মাওবাদি নেতা, NIA’র জালে মনোজ চৌধুরি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement