পলাশ পাত্র: নিমন্ত্রণ বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গেই গিয়েছিল বছর চারেকের শিশুটি। আশেপাশে সকলেই প্রায় চেনামুখ। পাড়া-প্রতিবেশী। কিন্তু চেনা মানুষের ভিতরেই যে অচেনা শয়তানের বাস, তা বুঝে উঠতে পারেনি একরত্তিটি। আর তাই প্রতিবেশীর হাতেই ধর্ষণের শিকার হতে হল শিশুটিকে। জঙ্গলের মধ্যে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অবশ্য অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন স্থানীয় মানুষ। তারপরই দেওয়া হয় গণধোলাই। পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে প্রথমে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[ সততার নজির, ব্যাংকের ভুলে হাতে বেশি টাকা পেয়েও ফেরালেন গ্রাহক ]
নাকাশিপাড়া থানার পূর্ব সোনাতলা পাড়ার এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তাপস মজুমদারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব সোনাতলা পাড়ার পবিত্র সরকারের বাড়িতে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান ছিল। প্রতিবেশী মুকুল রায় তার স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান সেখানে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। ওই একই পেশায় যুক্ত তাপস মজুমদারও। তারও বাড়ি ওই এলাকায়। অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিল এই ব্যক্তিও। নিমন্ত্রণ বাড়িতেই সে মুকুলবাবুর চার বছরের শিশুকন্যাকে আদর করে নানারকম কথা বলতে থাকে। চেনা মুখ হওয়ায় সন্দেহ করেননি শিশুটির অভিভাবকরাও। অভিযোগ, শিশুটির সঙ্গে আলাপ জমিয়েই অভিযুক্ত তাকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানে শিশুকন্যাকে এই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে, ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করে শিশুটি। তার আওয়াজ শুনেই স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে তারা অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে। গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া হয়।
[ জন্মদিনের অঙ্গীকার, সাবালক হয়েই রক্তদান আসানসোলের অনিমেষের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.