সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: লিভ-ইন পার্টনারকে ঠকিয়ে বিয়ে করার আগে বরবেশে শ্রীঘরে ঠাঁই হল এক যুবকের৷ প্রতারক সল্টলেকের একটি কর্পোরেট সংস্থার কর্মী। পুরুলিয়ার এটিএম গ্রাউন্ডের কমিউনিটি হলের বিবাহ বাসর থেকে শুক্রবার রাতে ওই কর্পোরেট সংস্থার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বরাবাজার থানার পুলিশ। অভিযুক্তের সঙ্গিনীর সঙ্গে কনে রীতিমতো পরিকল্পনা করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় যুবককে৷
ধৃত সল্টলেকের কর্পোরেট সংস্থার কর্মীর নাম দেবদীপ পাল। বছর একত্রিশের ওই যুবক বর্তমানে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে থাকে। তবে তার আদি বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসা এলাকায়। তার নিউটাউনের ফ্ল্যাটেও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ওই যুবক বেঙ্গালুরু, কলকাতা, উত্তরপাড়া, জামশেদপুর সহ বিভিন্ন এলাকার দশ-বারোটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে। সেই সঙ্গেই বরাবাজারের তরুণীর সঙ্গে আইনি বিয়ে করে সে৷ তাঁর থেকে গয়না, আসবাবপত্র হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত৷ ইতিমধ্যেই ইছাপুরের এক মহিলার সঙ্গে দেবদীপ লিভ-ইন করতে শুরু করে বলেও অভিযোগ। আবার গত শুক্রবার রাতে বরাবাজারের নামোপাড়ার বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ের আয়োজন করে ওই যুবক৷ ইছাপুরের তরুণী অভিযুক্তের হবু স্ত্রীকে লিভ-ইন সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেন৷ গোটা বিষয়টি জানার পর কনেও ওই ‘গুণধর’ পাত্রকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করেন। পাত্র যে এমন ঠকবাজ তা জেনে কনেও ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ শুক্রবার রাতে বরের বেশে গাড়ি থেকে নামার সময়ই পুলিশ যুবককে পাকড়াও করে। গ্রেপ্তার করা হয় যুবকের বাবা তপন পালকেও৷ বিয়েবাড়িতে পুলিশ দেখে হতচকিত হয়ে যান বরযাত্রী এবং কনেপক্ষের প্রায় সকলেই৷ অভিযুক্ত লিভ-ইন সঙ্গিনী ধৃত যুবকের কীর্তি ফাঁস করে দেন।
বরাবাজার থানার পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করেছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া গয়না এবং আসবাবপত্র উদ্ধার করা হবে৷
ছবি: অমিত সিং দেও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.