সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটির দিন কিংবা কর্মব্যস্ততা। আবার ধরুন বর্ষা কিংবা শীত। রসনাতৃপ্তিতে সব সময়ই পাতে থাকতে পারে মুরগির মাংস। সেভাবে দেখলে তাই মুরগিকে হত্যা করা হয় অহরহ। কিন্তু মুরগিকে ‘খুন’ করা হয়েছে একথা শুনেছেন কখনও? অবাক লাগছে তো? শুধু আপনার নয় মুরগি মালিকে এহেন অভিযোগ শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় পুলিশ আধিকারিকেরও। যদিও পরে মালিকের কথা শুনে অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় পুলিশ। ময়নাতদন্তেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ির ধাপগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম এবং মুনসুরা বেগমের বেশ কয়েকটি পোষ্য মুরগি রয়েছে। তারা মালিক এবং তাঁর প্রতিবেশীর জমি সীমানা বোঝে না। তাই তো মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশী ইমাজ্জিন আলির লঙ্কা খেতে ঢুকে পড়ে ওই ১০টি মুরগি। তাদের আনাগোনা ভাল চোখে দেখতেন না ইমাজ্জিন। অভিযোগ, গত ২৩ ডিসেম্বর খেতে ঢুকে পড়া মুরগির জন্য বিষ মেশানো মুড়ি, ভাত ছড়িয়ে রাখে ইমাজ্জিন। ওই খাবার খায় ১০টি মুরগি। মালিকের দাবি, খাবার খাওয়ার পর আটটি মুরগিই মারা গিয়েছে। কীভাবে মুরগিগুলি মারা গেল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি দম্পতির। মুনসুরা তাঁর প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। ঝগড়াঝাটির মাঝে ইমাজ্জিন তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ।
মাথার ঠিক রাখতে না পেরে সোজা মরা মুরগিগুলিকে নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে যান আমিনুল এবং মুনসুরা। সেখান থেকে সোজা কোতয়ালি থানায় যান দু’জনে। পুলিশের দাবি, দম্পতি জানান মুরগিদের ‘খুন’ করা হয়েছে। তাই তাদের ময়নাতদন্ত করতে হবে। অভিযোগ শুনে প্রথমে অবাক হয়ে যান আধিকারিকরা। যদিও আইন অনুযায়ী, কোনও পশু বা প্রাণীকে খুন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হতে পারে জরিমানাও। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশের অভিযোগ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকক্ষেত্রে পশু বা প্রাণীহত্যার ঘটনায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ নেওয়ার পাশাপাশি মুরগিদের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেই আশ্বাস দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.