প্রতীকী ছবি।
শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: হাতুড়ির আঘাতে বধূর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে জখম বধূকে ভর্তির করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির দেহাবন এলাকার ডমনাহার গ্রামের শ্বশুরবাড়ি ঘটনাস্থল।
শনিবার ভোরে মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত স্বামী ওয়াজেদ আলি-সহ শ্বশুর ও শাশুড়ি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মৃতার নাম নাসিমা বিবি (২৮)। তাঁর পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের দিগনা গ্রামের মৃতার বাবার বাড়ি। এদিন মৃতার বাবা গোলাপ হোসেনের তরফে প্রথমে ইটাহার থানা পরবর্তীতে কুশমন্ডি থানায় জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুশমন্ডি থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ এর ডিসেম্বরে ওয়াজিদ আলির সঙ্গে নাসিমার বিবাহ হয়। বিয়ের চার বছর তাঁদের মেয়ে হয়। এদিন রায়গঞ্জের মর্গে দাঁড়িয়ে মৃতার কাকা বাবুল হোসেনের অভিযোগ, “বিয়ের দেড় বছর পর থেকে টাকার জন্য ভাইঝির উপর অত্যাচার করত। কিন্তু মেয়ের জন্মের পর থেকে নির্যাতন বেড়ে যায়। টাকা আদায়ের জন্য রোজ শারীরিক নির্যাতন চালাত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে হাতুড়ি দিয়ে ভাইজির মাথা থেঁতলে দেয় স্বামী। সঙ্গে ছিল শ্বশুর। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে বিকালে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু মাথা ফেটে এত বেশি রক্তপাত হওয়ায় চিকিৎসায় কোনও কাজ হয়নি। রাতে মারা যায় ভাগ্নি।” অভিযুক্ত স্বামীর ফাঁসির দাবি করেন মৃতার বাবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.