ছবি: প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাস্তার পাশে পড়ে ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই ছবি দেখে শিউড়ে উঠেছিল স্থানীয়রা। তাঁরাই খবর দেয় পুলিশে। তদন্তে নেমে মৃতের ভাইকে গ্রেপ্তার করে তারা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ গাইঘাটার জামদানি এলাকায়। অভিযোগ, দাদাকে কুপিয়ে খুনে করেছে শিক্ষক ভাই। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি, তিনি দাদাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন।
মৃতের নাম মিজানুর রহমান (৪৬)। বসিরহাটের দক্ষিণ চাতরার বাসিন্দা। ধৃত মুসিয়ার রহমান মৃতের ভাই। বনগাঁর একটি হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন ,রাতে নির্জন জামদানি-মধুসূদন কাটি রোডের পাশে ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা। মৃতদেহের মুখ, হাত, গলা-সহ একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোবরডাঙ্গা ও গাইঘাটা থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে তদন্তে নামে।
রাতেই গোবরডাঙা থানা এলাকায় সন্দেহভাজনভাবে একটি গাড়ির নম্বর প্লেট ঢেকে যাচ্ছিল। গোবরডাঙা থানার এক পুলিশকর্মীর সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় অসংগতি ধরা পড়ে। থানায় আনতেই রহস্য উন্মোচন হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের শরীরে রক্তের দাগ ছিল। কাছে একটি ব্যাগও ছিল। ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দুটি গ্লাভস, একটি স্যানিটাইজার ও সাতটি রুমাল। তার মধ্যে একটি রক্তমাখা রুমালও ছিল। এছাড়াও একসেট নতুন জামা-প্যান্ট, কালো তিনটি গামছাও ছিল। তাঁর কাছ থেকে মৃত দাদার রক্তমাখা ফোন উদ্ধার হয়। এরপরই দাদাকে খুনের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
যদিও অভিযুক্ত এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন। তিনামতলার এক ব্যক্তি দাদাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দাদাকে আমি বাঁচাতে গিয়েছিলাম।” গোবরডাঙ্গার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাতেই গাইঘাটা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.