অভিষেক চৌধুরী, কালনা: দাম্পত্য অশান্তির জের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। গ্রেপ্তার স্বামী। শনিবার রাতের ঘটনায় মন্তেশ্বরের জামনা পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা মানিক ভুঞ্জা মন্তেশ্বরের নতুনগ্রাম এলাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে আসাযাওয়া করত। চাষের জমিতে দিনমজুরের কাজ করত। অশোক সাঁই নামে এক জমির মালিকের খামার বাড়ির ঘরেই থাকত। মাঝেমধ্যে আবার চলেও যেত। কয়েকমাস আগে তিনি ওই এলাকায় স্ত্রী সোনামণি হেমব্রমকেও নিয়ে আসে সে। বয়সে বছর আটেকের ছোট স্বামী মানিকের সঙ্গে সোনামণির প্রায়ই ঝগড়া অশান্তি হত। অভিযোগ, একে অপরকে মারধর করত। মানিকের মদ্যপান নিয়েই মূলত অশান্তি হত তাঁদের।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ওই দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এরপর হঠাৎ করেই সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। কোনও আওয়াজ না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁদের নজরে আসে বারান্দায় পড়ে রয়েছে সোনামণির রক্তাক্ত দেহ। তাঁর স্বামী মানিককেও ছুটে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। স্থানীয়রাই মন্তেশ্বর থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোনামণির রক্তাক্ত গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করে। মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয় চিকিৎসকের।
স্বামী মানিক ভুঞ্জাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে মানিক জানিয়েছে, নিজেদের মধ্যে অশান্তির জেরে রাগের বশে সে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে খুন করে। এছাড়াও তার বেশ কিছু বক্তব্যে অসংগতি রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, নতুনগ্রাম এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, মানিকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে অশান্তির জেরে প্রাণ গেল সোনামণির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.