অভিষেক চৌধুরি, কালনা: স্ত্রী-সন্তান থাকতেও আরও এক মহিলাকে বিয়ে! এমনই এক সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ৩ মাসের শিশুকন্যাকে গলা টিপে খুন করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে।
স্ত্রী ও সন্তানদের ফাঁকি দিয়ে কাজের নামে অন্য এক মহিলাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ভিন রাজ্য থেকে মন্তেশ্বরের পানবড়েয়া গ্রামে পালিয়ে আসে পরিযায়ী এক শ্রমিক। স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অন্য মহিলার সঙ্গে থাকার খবর কানে যেতেই সূদূর ঝাড়খণ্ড থেকে কোলের শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকালে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী। তুমুল বচসা বাঁধে দুজনের মধ্যে। সুযোগ বুঝে ৩ মাসের শিশুকন্যাকে গলা টিপে খুন করে নদীর জলে ফেলে দেয় অভিযুক্ত বাবা জাসায় মুর্মু। শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই, অভিযুক্ত পুলিশ ও স্থানীয়দের সামনে জানায়, সে তার শিশুকন্যাকে খুন করে নদীর জলে ফেলে দিয়েছে। গতকাল থেকে লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ অভিযুক্ত জাসায় মুর্মুকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর ‘নকল’ স্ত্রীকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। কালনা এসডিপিও রাকেশ কুমার চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্ত জাসায় মুর্মু নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান কাটার মরসুমে গত ৫ দিন আগে মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের পানবড়েয়া গ্রামে রাশমি মারাণ্ডি নামের অন্য এক মহিলাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে নিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা জাসায় মূর্মূ। বেশ কয়েকবছর ধরে এখানে কাজ করতে আসায় জাসায় ও তার স্ত্রী রোজমেরী হেমব্রমকে স্থানীয় মানুষজন চেনেন। জাসায়কে অনেকে এই এলাকায় অনেকে ‘জামাই’ বলেও ডাকে। এবার স্ত্রীকে না নিয়ে এসে অন্য এক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসায় প্রথমে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হলেও সে পরে তাকে ‘নতুন বউ’ বলে পরিচয় দিতেই কেউ আর সন্দেহ করেননি।
ওদিকে ঝাড়খণ্ডে থাকা স্ত্রী রোজমেরী হেমব্রমের সন্দেহ হতেই সে ওই এলাকায় ফোন মারফত খোঁজখবর নেয়। অন্য এক মহিলাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে আনার কথা শুনেই সে একরত্তি শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে মন্তেশ্বরের পানবড়েয়া গ্রামে চলে আসে। নিজের মেয়েকে মেরে ফেলে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার মধ্যে কোনও অনুশোচনার ছবি চোখেমুখে ধরা পড়েনি এদিন। যদিও পুলিশ জানায় তাকে গ্রেপ্তার করে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.