বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দীক্ষা দেওযার ফলে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ। আর তারপরই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের মেয়েকে অপহরণ ‘গুরুদেবে’র। নদিয়ার (Nadia) ধানতলা থানার বরণবেরিয়া এলাকার ঘটনা। নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার হয়েছে অপহৃত নাবালিকাও।
নদিয়ার ধানতলা থানার বরণবেরিয়া এলাকায় বাড়ি গোপাল চক্রবর্তী নামে ওই অভিযুক্তের। তার বাড়ির কাছেই বাড়ি ওই নাবালিকার। গোপাল চক্রবর্তী ওই নাবালিকার বাবা-মাকে দীক্ষা দেওয়ার সূত্রে তাঁদের ‘গুরুদেব’ বলে পরিচিত। অথচ সেই গুরুদেবই কিনা ‘কুকীর্তি’ করতে ব্যস্ত! গোপাল চক্রবর্তী তিন সন্তানের বাবা। ইতিমধ্যেই বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার ৪ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। প্রতিবেশী ওই নাবালিকার বাবা-মায়ের ‘গুরুদেব’ হওয়ার সূত্রে মাঝেমধ্যেই তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল গোপাল চক্রবর্তীর। তার কুনজর পড়ে ওই নাবালিকার উপর। ওই নাবালিকার মা পুলিশের কাছে জানান, “প্রায় ১৪ দিন আগে গোপাল চক্রবর্তী তাদের ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে কোথায় চলে গিয়েছেন। সম্ভবত অপহরণ করা হয়েছে তাকে।”
অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। খোঁজখবর করে পুলিশ জানতে পারে, ওই নাবালিকা-সহ নিজের নাবালক ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে গোপাল কলকাতার লেকটাউনে কোনও একটি জায়গায় আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধানতলা থানার পুলিশ লেকটাউনে গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয় অভিযুক্ত গোপাল চক্রবর্তীকে। তার ছেলেমেয়েকেও পুলিশ উদ্ধার করে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই নাবালিকাকে তুলে দেওয়া হয়েছে তার বাবা-মায়ের হাতে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের ছেলেমেয়েকেও তাদের মামার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।” যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে গুণধর ‘গুরুদেব’ কোনও মন্তব্য করেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.