সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রথম প্রাণী হিসাবে অভিভাবক পেল চিতাবাঘ ‘নয়ন’। তাকে দত্তক নিলেন এক ব্যক্তি। চিতাবাঘের জন্য বছরে এক লক্ষ টাকা খরচ হবে। কিন্তু যিনি পশুটিকে দত্তক নিয়েছেন, তিনি নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এই ঘটনায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন সাফারি পার্কের কর্তারা।
[ডেলোর আকাশে বন্ধ প্যারাগ্লাইডিংয়ের উড়ান, হতাশ পর্যটকরা]
চিড়িয়াখানা ও মুক্ত বনাঞ্চলের পশুপাখিদের দত্তক নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। তারপর কয়েক মাস কেটে গেলেও এতদিন কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে ‘নয়ন’কে দত্তক নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সেই গেরো কাটল বলে মনে করা হচ্ছে। এবার অন্য প্রাণীগুলিদেরও দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ বাড়বে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সাফারি পার্কের বায়োলজিস্ট আদিত্য মিত্র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শিলিগুড়ির কাছেই জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থেকে ছ’মাস আগে এই চিতাবাঘের শাবকটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তখনই তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। সাফারি পার্কের কর্মীরাই এই শাবকের নাম দিয়েছিলেন নয়ন।
যাঁরা পশুপাখিদের ভালবাসেন ,তাঁরা চাইলে এভাবেই অন্য প্রাণিদেরও দত্তক নিতে পারেন। কিন্তু তা বলে দত্তক নেওয়া প্রাণিটিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না, থাকবে চিড়িয়াখানাতেই। তবে খাতায় কলমে যিনি দত্তক নিলেন, তাঁকে এক বছরের জন্য প্রাণিটির অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দত্তক বাবদ প্রাপ্ত অর্থ ওই প্রাণীদের স্বার্থে খরচ করা হয়। দত্তক নেওয়ার ন্যূনতম মূল্য ২৫ হাজার টাকা আর সর্বোচ্চ দু’লক্ষ টাকা। সে টাকার জন্য আবার আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। এক বছরের জন্য পশুপাখিদের দত্তক নিতে টাকা দিয়ে কিছু কাগজপত্র সই করলেই অভিভাবকত্ব মিলবে। শুধু কোনও প্রাণী দত্তক নিতে চান, তা নির্দিষ্ট করে আবেদন করতে হবে। চিড়িয়াখানার বন্ধু নামে আরও একটি প্রকল্প চালু আছে। ওই প্রকল্পেও কেউ সামান্য অর্থ খরচ করে বন্যপ্রাণীদের বন্ধু হয়ে ওঠতে পারেন। বিনিময়ে মিলবে ওই সব প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ। রাজ্য ও বাইরের বহু জায়গায় এমন দত্তক নেওয়ার প্রথা থাকলেও শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে এমন উদ্যোগ প্রথম।
[ সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে শিলিগুড়িতে হাজির চার বাংলাদেশি যুবক! ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.