শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হল স্ত্রী এবং সন্তানের রক্তাক্ত দেহ। শনিবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের ইসলামের রামকৃষ্ণপল্লি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁদের। নিহত মহিলার পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন মৃতার স্বামী। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে মৃতার স্বামী। যদিও পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে মুন্না রায়ের। তবে বর্তমানে ইসলামপুরের রামকৃষ্ণপল্লিতে ভাড়াবাড়িতে থাকেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী এবং বছর চারেকের শিশুকন্যা। ইসলামপুরের নিয়ন্ত্রিত বাজারে তাঁর একটি চায়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ভোরবেলা ঘরে সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামী মুন্নার সঙ্গে দোকান খুলতে যান স্ত্রী ভারতী। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন ভোরবেলা দোকান খুলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ি ফিরে আসেন ভারতী। তার খানিকক্ষণ পর মুন্নাও বাড়ি ফেরেন। তাঁর দাবি, বাড়ি ঢুকে দেখেন রক্তারক্তি কাণ্ড। মেঝেতে পড়ে রয়েছেন স্ত্রী। বিছানার উপর পড়ে রয়েছেন একমাত্র কন্যাসন্তানের রক্তাক্ত দেহ।
খবর পাওয়ামাত্রই প্রতিবেশী এবং বাড়িমালিক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ইসলামপুর থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মুন্নার স্ত্রী এবং শিশুকন্যার দেহ ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মুন্না এবং ভারতীর মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি লেগেই থাকত। তার ফলেই মুন্না তার স্ত্রী এবং সন্তানকে খুন করেছে। যদিও মুন্না খুনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। তার দাবি, কে বা কারা তার স্ত্রী এবং সন্তানকে খুন করেছে তা তার জানা নেই।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই মহিলা এবং তাঁর শিশুকন্যাকে। স্বামী মুন্নাই তাঁদের খুন করেছে বলেও সন্দেহ পুলিশের। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন, “প্রাথমিক সন্দেহ স্বামী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীকে বিয়ে করার আগে প্রথম স্ত্রীকেও খুন করেছিল মুন্না। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.