নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ফের প্রকাশ্যে ঠাকুরবাড়ির দ্বন্দ্ব। এনআরসি নিয়ে বৈঠককে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরবাড়ি। অভিযোগ ওঠে হেনস্তা করা হয়েছে মমতাবালা ঠাকুর-সহ তাঁর দলের সদস্যদের। পালটা অভিযোগ করেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, আক্রমণ করা হয়েছে তাঁকে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। এখনও থমথমে এলাকা।
এনআরসি আতঙ্কে কাঁটা রাজ্য মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা। ইতিমধ্যেই নাগরিকপঞ্জিতে নাম না উঠলে কী হতে পারে তা ভেবেই চরম পরিণতির পথ বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে এনআরসির প্রতিবাদে ঠাকুরবাড়িতে একটি সভার আয়োজন করেন মমতাবালা ঠাকুর। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন। প্রায় একই সময়ে এনআরসির সমর্থনে ঠাকুরবাড়িতেই সভার আয়োজন করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। নির্ধারিত সময়েই মিটিংও শুরু করেন শান্তনু ঠাকুর। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা শান্তনু ঠাকুরের দলের একজন ব্যক্তি সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস নামে মমতাবালার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।
অভিযোগ, সুকৃতিরঞ্জনকে বাঁচাতে গেলে আক্রমণ করা হয় মমতাবালা ঠাকুরকেও। এরপর মমতাবালা ঠাকুরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য একটি গাড়িতে বেশ কয়েকজন এলে সেই গাড়িতেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে শান্তনু ঠাকুরের দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরবাড়ি চত্বর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর পালটা অভিযোগ, সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিই শান্তনু ঠাকুরকে আক্রমণ করেছিলেন। এমনকী প্রাণ বাঁচাতে ঘরে লুকোতে হয়েছিল বলেও দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলও এখনও থমথমে এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.