নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: নদিয়া জেলার তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক থেকে দলীয় বৈঠক, সর্বত্র নেতাদের সতর্ক করে দিলেন। সাফ বার্তা দিলেন ঠিক ভাবে চলো না হলে এ দলে সমস্যায় পড়বে। এর আগে শান্তিপুরের দুই যুযুধান পক্ষ চেয়ারম্যান অজয় দে ও বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে নাম করে বলেন, ‘তোমরা নিজেরা শোধরাও। আমি কিন্তু রাফ অ্যান্ড টাফ। আমি সব খবর পাই।’ নেত্রী দলীয় নেতাদের সতর্ক করার বৃত্ত সম্পূর্ণ করেন কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে। সেখানে ১৮৫টি পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীদের নিয়ে দলীয় বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জেলার কোনও হেভিওয়েট নেতাকে রেওয়াত করেননি।
সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা সভাপতি গৌরীশংকর দত্তর কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের দলে সময় না দেওয়া নিয়েও নেত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। যুব সভাপতি তথা বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরাসরি নেত্রী ক্ষোভ উগরে দেন। তাকে নির্দেশ দেন লক্ষ্মণ ঘোষকে ব্লক সভাপতি করার জন্য। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ-র এলাকায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিধায়ককে সতর্ক করে দেন। তাকে সংযোগ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেন। পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহাকে নির্দেশ দেন, তাঁর এলাকায় বিশ্বনাথ ঘোষকে ব্লকের চেয়ারম্যান করে দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত, তৃণমূল থেকে বিশ্বনাথ ঘোষ বিজেপিতে যোগদান করেছেন বেশ কিছুদিন আগে। কৃষ্ণনগরে টোল ট্যাক্স তোলা নিয়ে অভিযোগ ছিলই। এই ট্যাক্স তোলা যাবে না বলে নেত্রী নির্দেশ দেন। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, দলে কোনও গোষ্ঠীবাজি-লবি বরদাস্ত করবেন না। দলের পুরনো লোকজনকে সম্মান করতে হবে বলে দলীয় বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন।
[উদ্বাস্তুদের জমির স্বত্ব দেবে রাজ্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
রাণাঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি নেত্রী শংকর সিংকে দেখতে বলেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন বৈঠকে ছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সাংসদ তাপস মণ্ডল, জেলার বিধায়করা ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট দলীয় বৈঠক হয়। আগামী ১৪ জানুয়ারি তেহট্ট মহকুমায় আসছেন অনুব্রত মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.