Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মোদি, তোপ মমতার

এদিন তাঁর সাফ কথা, দেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে নিতেই হবে। কেন এখনও মানুষের ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না তার জবাবদিহি করতেই হবে মোদিকে।

Mamata Slams Modi on completion of one month of demonetisation
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 8, 2016 3:10 pm
  • Updated:December 8, 2016 3:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের একমাস পূর্ণ হল। কিন্তু এখনও মানুষের ভোগান্তির কোনও শেষ নেই। এখনও জোগান নেই পর্যাপ্ত টাকার। আর এই পরিস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মোদি।

বরাবরই নোট বাতিলের বিরোধিতা করেছেন তিনি। বস্তুত দেশে তিনিই প্রথম এ বিষয়ে বিরোধী রব তোলেন। পরে গড়িমসি করেও অন্যান্য বিরোধীরাও সেই সুরেই সুর মিলিয়েছে। এক মাস পূর্ণ হওয়ার সময় ফের শাসকদলকে তোপ দাগলেন তিনি। এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, “আমি প্রথম দিনই মানুষের ভোগান্তি ও অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। আজ একমাস ধরে কী হয়েছে তা সকলেই দেখেছেন। আমার কথা সত্যি হচ্ছে।” এই একমাসকে দেশের ‘অর্থনীতির কালো যুগ’ বলে অভিহিত করেন মমতা। জানান,  “উনি কালো টাকার কথা বলছেন। ব্ল্যাক মানি ফেরানোর কথা বলছেন। দেশে পরিবর্তন আনার কথা বলছেন। কিন্তু সে সব হচ্ছে কই। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছাড়া আর কোথাও কিচ্ছু হচ্ছে না।” একজন মানুষের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফল দেশকে ভোগ করতে হচ্ছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। দেশে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্রেও জরুরি অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ মমতার। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজে যা ভাল বুঝছেন তাই করে চলেছেন। কোথাও কোনও পরিকল্পনা নেই, অর্থনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি পর্যন্ত নেই। বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতেও প্রশাসন সক্রিয় বলে অভিযোগ করে তাঁর বক্তব্য, দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গণতান্ত্রিক পরিবেশে যা কখনওই কাম্য নয়।

Advertisement

এদিন মোদি ও শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। দেশে ‘ওয়ান ম্যান ডিক্টেরশিপ শো’ চলছে বলে মমতার প্রশ্ন, “দেশ কোনদিকে যাচ্ছে? মানুষ জানে না কাল কী হবে?” এমনকী প্রশাসনিক কাজকর্মও স্তব্ধ হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর প্রশ্ন, “এই সিদ্ধান্তের গোপন অভিসন্ধিটি কী? সেটা এবার দেশকে জানাতে হবে।” তিনি জনতার সেবক, আর তাই যেখানে যা ভুল হচ্ছে তা তিনি তুলে ধরবেন বলে জানান। আগেও এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশে যা করা সম্ভব করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। এদিন শাসকদলের জমি কেনার প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। এমনকী ক্যাগ রিপোর্ট উল্লেখ করে প্রশাসনিক কেলেঙ্কারির কথাও তোলেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকেও এদিন ছাড়েননি তিনি। তাঁর পদকে সম্মান করে জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি, প্রধানমন্ত্রীর কাজের সঙ্গে উনি জড়িত। ফলে স্বাধীনভাবে তিনি কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ মুখথ্যমন্ত্রীর। তবে মানুষের দুরাবস্থা দূর করতে তাঁর যে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া উচিত এমনটাই অভিমত তাঁর। মোদির সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী ছাতি নিয়ে যে গর্ব করছেন তাকে এদিন রীতিমতো তুলোধোনা করেন মমতা। জানান, “কারও কাঁধ চওড়া, কারও নয়। সেটা শারীরিক গঠন। যাদের কাঁধ চওড়া তারা সিমেন্টের বিজ্ঞাপন করেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কাঁধের কী সম্পর্ক? নিজের ছাতির নিজেই প্রশাংসা করে চলেছেন। এ তো হয় না। মানুষের কাঁধেই জোরেই প্রধানমন্ত্রীর কাঁধ শক্ত হয়।”

এদিন তাঁর সাফ কথা, দেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে নিতেই হবে। কেন এখনও মানুষের ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না তার জবাবদিহি করতেই হবে মোদিকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement