সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে তিনি বদ্ধপরিকর। বেসরকারি হাসপাতালগুলির অব্যবস্থাকে দমন করেছেন কড়া হাতে। প্রায়শই বিভিন্ন সভায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে গর্ব করতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর সেই গর্বের জায়গাতেই জঞ্জাল জমে থাকতে দেখে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে দক্ষিণ কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং রামরিক দাস হাসপাতালে গিয়ে প্রচণ্ড রেগে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে জঞ্জালের স্তূপ দেখে মেয়রকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
[ মোর্চার মিছিলে উত্তপ্ত পাহাড়, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ]
মঙ্গলবার আচমকাই দু’টি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। এ কাজ তিনি আগেও করেছেন। সরাসরি শুনেছেন রোগীদের অভাব অভিযোগ। ন্যায্য মূল্যের ওষুধ মিলছে কিনা, সে খোঁজখবরও নিয়েছেন। বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে চাঙ্গা করতে তাঁর উদ্যোগের জুড়ি মেলা ভার। বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল। সঠিক সময়েই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া আসলে সেবা। অন্য কোনও ব্যবসার সঙ্গে তাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। তাই স্রেফ ব্যবসার খাতিরে মুনাফার চিন্তা নয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনেকটা মানবিক হতে হবে এক্ষেত্রে। একারণেই চালু করেছেন বিশেষ মেডিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট বিল। ফলত পরিষেবা নিতে যেমন তেমন হারে টাকা নিতে পারবে না বেসরকারি সংস্থাগুলি। তাতে সুরাহা হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে এখনও রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরই নির্ভরশীল। সে কথা বিভিন্ন সময় গর্ব করে বলেওছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে বিনামূল্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে মানুষ, যা আর কোথাও মিলবে না। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ও ভরসার পরও সরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে জনগণের অভাব-অভিযোগ থেকেই গিয়েছে। সে কথাও বিভিন্ন সূত্রে কানে উঠেছে মমতার।
[ পাত্রের এই বদভ্যাসের কারণে বিয়েই ভেঙে দিলেন কনে ]
এদিন হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে আচমকাই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তিনি। বেছে নেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল ও রামরিক দাস হাসপাতালকে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালেই জঞ্জাল জমে থাকতে দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি মেয়রকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালে পৌঁছন মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুরসভার সাফাইকর্মীরা। তারপরই জোর কদমে শুরু হয় কাজ। রোগীরা জানাচ্ছেন, অবস্থা এমন ছিল যে হাসপাতালের আশেপাশে টেকা দায় হচ্ছিল। অসুস্থরা এই পরিবেশে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দাওয়াইয়ে কাজ হয়েছে। এখন অনেকটাই ঝকঝকে হয়ে উঠেছে হাসপাতাল চত্বর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.