Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুজোর ক্লাবে হাত পড়লে ছেড়ে দেব না, আয়কর নোটিস নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার।

Mamata raps IT notice to Puja committees
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 11, 2019 3:34 pm
  • Updated:January 11, 2019 3:34 pm  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: দুর্গাপুজো কমিটির গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে দেব না। এভাবেই এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্লাবগুলিকে আবেদন করেন, এ ব্যাপারে একজোট হতে। তিনি বলেছেন, “দুর্গাপুজো করলেও নোটিস ধরানো হচ্ছে। পুজো তো ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এখানে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না। দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছ? একটা ক্লাবের গায়ে হাত পড়লে কেউ ছেড়ে কথা বলব না। সব ক্লাব জোট বাঁধুন। কবে এসে বলবে, রোজা করলেও ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। সবাই আয়কর দেবে, আর ওঁরা জনগণের আয় লুটে নেবে।” 

[ পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতির প্রতিবাদ, প্রাণহানির হুমকির মুখে বিজেপি নেতা]

Advertisement

বাংলায় সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপুজো। সরকারি পুজো অনুদানের উপর পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত পুজো কমিটিগুলি অলাভজনক সংস্থা। এরা সমাজসেবাও করে। বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে মমতার তোপ, “আগে জ্বালিয়েছে বাম। এখন জুটেছে নাটুকে রাম। রামের নাম করে আমাদের ধর্ম শেখাচ্ছে!” সংরক্ষণের নামে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নয়া নাটক করছে বলে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর  কটাক্ষ, “কথা, নাটক বেশি কিন্তু কাজ নেই। এতে আমরা বিশ্বাস করি না। চাকরি নেই, তার আবার সংরক্ষণ! ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে কাদের ? আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে। চাষির ঘরের ছেলে, শ্রমিকের ঘরের ছেলে, খেতমজুরের পরিবার পাবে না। সংরক্ষণ করলে জায়গাকে সিল করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম রয়েছে, ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ হয় না। সারা দেশে ২ কোটি লোক বেকার হয়েছে ২০১৮ সালে।”

শুক্রবার বারাসতে কাছারি ময়দানে যাত্রী উৎসবে সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব বিবেক কুমারকে নির্দেশ দেন, যাত্রাশিল্পীদের এককালীন ভাতার পরিমাণ ৯ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করতে হবে। যাত্রাশিল্পীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, “বাস্তব যাত্রা করুন। যা মানুষের প্রকৃত কথা বলে। মানুষকে পথ দেখায়। কন্যাশ্রী মেয়েদের নিয়ে নতুন করে ভাবুন।” এদিন বারাসতে ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অমিত মিত্র, অরূপ বিশ্বাস, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পূর্ণেন্দু বসু, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, তাপস রায়, সুজিত বসু, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দীনেশ ত্রিবেদী, সৌগত রায়, ইদ্রিস আলি, মমতাবালা ঠাকুর প্রমুখ। ছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী প্রমুখ। 

ছবি: পিন্টু প্রধান

[ বন্ধ মদের দোকান খুলতে গিয়ে মহিলাদের তাড়া খেলেন কাউন্সিলর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement