সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ মমতার সহযোদ্ধা, কেউ রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া। সংসদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা বেশি না থাকলেও মাঠে ময়দানে লড়াই করার অভিজ্ঞতা পুরোদস্তুর আছে এমন প্রার্থীরাও ঠাঁই পেল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, দেবদের মতো তরুণদের ভিড়ে মমতার প্রার্থী তালিকার ইউএসপি সেই চেনা মুখগুলিই। পরীক্ষিত এবং পরিচিত মুখেই ভরসা রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী।
দলের প্রয়োজনে মমতা যে নিজের সহযোদ্ধাদেরই সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন তা এদিন আরও একবার প্রমাণিত হল। ২০০৯ এবং ২০১৪ নির্বাচনের তুলনায় তৃণমূলের কাছে এবারের লড়াইটা অনেকটাই কঠিন। রাজ্যের সম্প্রতি যে হারে বিজেপির ভোট বাড়ছে, আর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে তাতে একাধিক আসনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে শাসকদলকে। এই চ্যালেঞ্জিং আসনগুলিতে মমতা এগিয়ে দিয়েছেন পুরনো সেনাপতিদেরই।
লোকসভার আগে আগে দল ছেড়েছেন বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে এবার অন্য কাউকে প্রার্থী করতে হত। শোনা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে দাঁড়াবেন সৌমিত্র। যা তৃণমূলের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। ওই আসনটিতে মমতা কলকাতা থেকে পাঠালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। দলের দীর্ঘদিনের পুরনো সেনাপতি সুব্রত বক্সি এবার লড়বেন না। তাঁর পরিবর্তে অভিজ্ঞ মালা রায়ে ভরসা রেখেছেন মমতা।
চিটফান্ড এবং নারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়ের প্রার্থীপদ নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এই দু’জন লড়ছেন নিজেদের কেন্দ্র থেকেই। তমলুক কেন্দ্র থেকে ফের লড়বেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা শিশির অধিকারী। বারাকপুরে প্রার্থী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। কিন্তু তাঁকে উপেক্ষা করে ফের অভিজ্ঞ দীনেশ ত্রিবেদীতেই ভরসা রাখলেন মমতা। ফের টিকিট পেলেন প্রবীণ নেতা তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পেলেন প্রাক্তন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু অধিকারীরা। সব মিলিয়ে, তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাকেই মূল হাতিয়ার করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.