পলাশ পাত্র, তেহট্ট: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হল কৃষ্ণনগরের ১০ টি টোল প্লাজা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যত কাজ হারালেন টোল প্লাজায় কর্মরত ১৩০ জন যুবক। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ায় একাংশ যেমন প্রবল খুশি, তেমনই প্রবল অনিশ্চয়তায় মুখোমুখি টোল প্লাজার কর্মীরা।
শংকর মিশন, রাধানগর, বগুলা রোড, গৌড়ীয় মঠ, ডন বকসো রোড, কবিগুরু রোড, ক্ষৌণিষ পার্ক মোড়, ইডব্লুউডি-সহ মোট ১০ টি টোল প্লাজা রয়েছে কৃষ্ণনগর শহরে। প্রতিটিতেই টোল ট্যাক্স দিতে দিতে জেরবার গাড়িচালকরা৷ তাই দীর্ঘদিন ধরেই টোল প্লাজা বন্ধ করার দাবি তুলছিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি যথাযথ বুঝে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ১০ টি টোল প্লাজাই বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও চলছিল টোল প্লাজা। কিন্তু বুধবার কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ফের টোল প্লাজা বন্ধ প্রসঙ্গে বিদায়ী পুরপ্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত টোল বন্ধের কথাও বলেন তিনি। এরপর বৃহ্স্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ শহরের ১০ টি টোল প্লাজা। ঘটনায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা৷
তবে একাংশ খুশি হলেও, এই ঘটনায় সমস্যার মুখে শতাধিক পরিবার। সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগরের এই ১০ টি টোল প্লাজায় কর্মরত ছিলেন প্রায় ১৩০ জন যুবক। টোল প্লাজাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। আদৌ তাঁদের অন্য কোনও দপ্তরে চাকরি দেওয়া হবে কিনা, সেবিষয়েও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। ফলে প্রবল আশঙ্কায় পড়েছেন টোল প্লাজার কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে সদর মহকুমা শাসক তথা কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রশাসক অম্লান তালুকদার বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে ব্যস্ত। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’ এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘টোল প্লাজার কর্মীরা আপাতত কর্মহীন। তবে আইন অনুযায়ী টোল ট্যাক্স বৈধ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখনও টোল প্লাজা চলছে। তাই, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ তবে টোল প্লাজাগুলি বন্ধ হওয়ায় রোজগার নিয়ে আশঙ্কায় ১৩০ টি পরিবার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.