Advertisement
Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা দানবীয় ঘটনা’, বীরসিংহ গ্রামে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

এনআরসি নিয়েও সরব মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata inaugurates week long celebration of Viyasagar birth anniversary
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 24, 2019 6:15 pm
  • Updated:September 24, 2019 6:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে থেকেই তাঁর জন্মের দ্বিশতবর্ষ উদযাপনের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরসিংহ গ্রামে গিয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। এক সপ্তাহব্যাপী রাজ্যজুড়ে উদযাপিত হবে বিদ্যাসাগরের জন্ম দ্বিশতবর্ষের অনুষ্ঠান। বীরসিংহে পৌঁছে মমতা যান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাড়িতে। যান বিদ্যাসাগরকে নিয়ে তৈরি মিউজিয়ামে।  বীরসিংহ ভগবতী হাই স্কুলেও যান তিনি।

[আরও পড়ুন: হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিটে বেনিময় হাতেনাতে ধরলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক ]

এদিন মমতা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে বিদ্যাসাগরের আদর্শ তুলে ধরাই রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্য। এদিন বিদ্যাসাগরকে নিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে আগামী দিনে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন মমতা।

Advertisement

বিদ্যাসাগরের জন্ম দ্বিশতবর্ষের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৪ মে৷ বাংলায় শেষ দফা লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় ভোট প্রচার করতে এসেছিলেন অমিত শাহ৷ তাঁর রোড শো ঘিরে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ স্ট্রিট চত্বর৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখানো পড়ুয়াদের উপর চলে হামলা৷ সেই হামলার রেশ গড়ায় বিদ্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত৷ শিক্ষাঙ্গনে আছড়ে পড়ে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের রেশ৷ দু’পক্ষের হাতাহাতির শিকার হয় কলেজে প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শতাব্দী প্রাচীন মূর্তিটি৷ সেই মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদল দানবীয় লোক মূর্তিটা ভেঙে দিয়ে চলে গেল। অকালবোধনের মতো সেই মূর্তি আবার প্রতিষ্ঠিত করতে হল।”

[আরও পড়ুন: কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পুত্রবধূ, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা শাশুড়ির ]

এনআরসি ইস্যুতেও এদিন রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলার মাটিকে ভয় পাওয়ানো যায় না। এ মাটিকে জব্দ করা যায় না। বাংলার মাটিতে এনআরসি হবে না। এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। ১০ বছর পর পর জনগণনা হয়, এটা তারই প্রক্রিয়া। সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রেখে সবাই মিলেমিশে থাকাটাই বাংলার ঐতিহ্য।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement