সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করেন না মমতা। ভারতের সংবিধান-আইন অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোট করা হোক মন্তব্যের জেরে এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করেন না, সংবিধান-আইন মানতে চান না উনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার হারিয়েছেন মমতা। বাংলাকে উনি একটা আলাদা দেশ ভাবেন।’ শুধু এই বলেই ক্ষান্ত থাকেননি মেদিনীপুরের সাংসদ। আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সুরে কথা বলছেন মমতা। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান গণভোটের কথা বলে। এবার উনিও পাকিস্তানের মতো গণভোট চাইছেন।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রানি রাসমনিতে তৃণমূলের সমাবেশ থেকে মমতা দাবি তুললেন, ”দেশে গণভোট হোক। আপনি করবেন না, রাষ্ট্রসংঘের তত্বাবধানে হবে গণভোট। প্রয়োজনে একটা কমিটি তৈরি হোক। আমরা কেউ থাকব না, থাকবেন মানবাধিকার কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমতা থাকলে গণভোটে লড়ুন।” মোদি-শাহর নাম না করে পরোক্ষে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ”বলুন, হেরে গেলে পদত্যাগ করবেন?” এই দাবির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রসংঘের দরবারে নিয়ে যেতে চাইছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। আসলে, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নেপথ্যে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তির। যে চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান ভাগাভাগির পর নিজ নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া এবং নিরাপদে এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ফলে দু’দেশেই গঠিত হয় সংখ্যালঘু কমিশন। এই লিয়াকত চুক্তি মানতে না পেরে নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিঁধলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে পদে আছেন সেখানে বাইরের সংস্থাকে এনে দেশের সমস্যা মেটানোর কথা বলা উচিত নয়।’ এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও মমতাকে গণভোট মন্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন ধনকড়। যদিও সেই আবেদনের সাড়া পাননি বলেই দাবি রাজ্যপালের। এদিন সকালে ফের কয়েকটি টুইট করেন তিনি।
.@MamataOfficial. I am saddened that CM Mamata Bannerjee has taken to totally unacceptable unconstitutional route by her public stance of seeking outside intervention in our internal matters and ignored my appeal. This has immeasurably caused damage to our democratic fabric.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2019
In the name of our Founding Fathers I fervently appeal to her to act as per her oath and regretfully withdraw her statement. As a senior leader and constitutional functionary she cannot be oblivious to the potentially dangerous consequences of such approach.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2019
Her stance is an outrage of essence and letter of of our constitution and no nation loving person can appreciate or countenance it. I am sure she would forthwith revisit her stance.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.