সন্দীপ চক্রবর্তী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: মেয়েরা যদি পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করে রাজ্য সরকার। আবার প্রাপ্তবয়সে বিয়ে করলেও মিলবে সরকারি অনুদান। চলতি বছরের বাজেটে বিবাহযোগ্য মেয়ের জন্য রূপশ্রী নামে নয়া এই প্রকল্প ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিয়ের অন্তত ৫ দিন আগেই ২৫ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন বাংলার ‘রূপশ্রী’রা। ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়ে যাবে প্রকল্প। এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য বিয়ের অন্তত ৩০ দিন আগে ও ৬০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে হবে পাত্রীকে।
[জনমুখী রাজ্য বাজেট, বিবাহযোগ্যা মেয়েদের জন্য নয়া প্রকল্প ‘রূপশ্রী’]
পড়াশোনার খরচ জোগাতে না পেরে যেমন নাবালিকা মে্য়েদের বিয়ে দিয়ে দেন পরিবারের লোকেরা, তেমনি আবার টাকার অভাবে গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়েও হয় না। এই ভাবনা থেকে কন্যাশ্রীর আদলে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে বিবাহযোগ্যা মেয়েদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অন্তত এক মাস আগে বিয়ের পাকা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিয়ের অন্তত ৩০ দিন আগে ও ৬০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ফর্মে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে হবে পাত্রীকেই। নিজের বয়সের প্রমাণপত্র তো দিতে হবেই, অত্যন্ত জরুরি পাত্রের বয়সের প্রমাণপত্রও। আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার পর রূপশ্রী প্রকল্পে পাত্রীকে আর্থিক সাহায্যের করা বিষয়টি অনুমোদন করবেন ব্লক ও মহকুমাস্তরের আধিকারিকরা। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ৫ জনের সই নেওয়া হবে। বিয়ের অন্তত ৫ দিন আগে পাত্রীর অ্যাকাউন্টে চলে যাবে ২৫ হাজার টাকা। আর যদি আবেদন বাতিল হবে, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে সরকারি আধিকারিকদের। কীভাবে এই রূপশ্রী প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হবে, তার নির্দিষ্ট গাইডলাইনও জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি তদারকি করবে নারী ও শিশুকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ দপ্তর। দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই যোগ্য পাত্রীরা যাতে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করা হবে। পদ্ধতিগত কারণের জন্যই অন্তত এক মাস সময় নেওয়া হচ্ছে।‘
[রাম নবমীতে বজরং দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার, বিক্ষোভে দিনভর স্তব্ধ পুরুলিয়া]
এ রাজ্যে ক্ষমতার আসার পর, নাবালিকা বিয়ে রুখতে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। এই প্রকল্পে ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। বিবাহযোগ্য মেয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পটিও মুখ্যমন্ত্রীরই মস্কিষ্কপ্রসূত। প্রকল্পের নাম, লোগো সবই তাঁর তৈরি। কিন্তু, রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার মাপকাঠি ঠিক কী? এক্ষেত্রে পাত্রীর পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে। পাত্রী ও পাত্রের বয়স হবে ১৮ ও ২১। পাত্রীকে জন্মসূত্রে এ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে কিংবা কমপক্ষে ৫ বছর পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতে হবে। নিদেনপক্ষে পাত্রীর বাবা কিংবা মা এ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও চলবে।
[বাজারে অঢেল পিঁয়াজ, উৎপাদন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ রাজ্যের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.