ধ্রবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লাদাখ সীমান্তে চিনা ফৌজের বর্বরতার শিকার ভারত মাতার বীর সন্তানরা। সংঘর্ষে মৃত ভারতীয় জওয়ানদের মধ্যে দুজন বাংলার বাসিন্দা। তাঁদের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবার-সহ গোটা দেশ। শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের মধ্য বাংলার বাসিন্দা দুই যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। দুই শহিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং একজনকে সরকারি চাকরির দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
লাদাখে চিনা সেনার হামলায় যে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের মধ্যে বীরভূমের মহম্মদবাজারের বাসিন্দা রাজেশ ওরাওঁ এবং আলিপুরদুয়ারের বিপুল রায়। লাদাখ থেকে ফিরেই বিয়ে করার কথা ছিল রাজেশ ওরাওঁয়ের। বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিয়ের প্রস্তুতিও। কিন্তু আচমকাই দুঃসংবাদ। চিনা সেনার নৃশংস হামলায় সীমান্তে শহিদ হয়েছেন রাজেশ। মুহূর্তে বিয়ে বাড়ির জৌলুস ফিকে। গোটা বাড়িতে শোকের আবহ। ছেলের শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা। চোখে জল স্থানীয়দেরও। এদিকে, এদিন সকাল থেকেই শহিদ বিপুল রায়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমান স্থানীয়রা। বাবা-মা, ভাইকে সহানুভূতি জানান তাঁরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, গত ডিসেম্বরে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন বিপুল রায়। তারপর লকডাউনের জন্য আর আসা হয়নি। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই মন খারাপ গোটা গ্রামের। তিনি বলেন, “খুব খোলা মনের হাসি-খুশি মানুষ ছিল বিপুল। এলেই পাড়ার সকলের সঙ্গে দেখা করত। খবরটা শুনে তাই সকলেই মর্মাহত।”
দুই শহিদের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন শহিদদের শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দুই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে এবং পরিবারের একজনকে রাজ্য সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বীর শহিদদের বাড়িতে পৌঁছেছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁদের নিথর দেহ গ্রামে পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.