টিটুন মল্লিক, বাকুঁড়া: ‘দিদি পেত্নি, দিদির চরিত্রের দোষ আছে’। রবিবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বাঁকুড়ার ওন্দায় সভা করতে গিয়ে নজিরবিহীন ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী। তার সমর্থনে আবার ব্যাখ্যাও করলেন তিনি। দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি যথাযথ বিশেষণই প্রয়োগ করেছেন তিনি। এর তীব্র নিন্দা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, কুকথায় ডক্টরেট করে ফেলেছেন বিজেপির নেতানেত্রীরা। এর প্রভাব পড়বে বিজেপির ভোটবাক্সে।
রাজ্যের শাসকদল যেমন CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে জেলায় জেলায়, তার পালটা হিসেবে বিজেপিও প্রতিটি প্রান্তে শুরু করেছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সভা, মিছিল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার রতনপুর অঞ্চলে রবিবার CAA ও NRC-র সমর্থনে বিজেপি সভার আয়োজন করেছিল। তাতে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্যের সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ‘পেত্নি’ বলে সম্বোধন করেন।
এও বলেন, ”বাংলার মাটিতে কোনও গরিমা নেই, এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ঘন্টা বাজাচ্ছেন। এবং ক্যা ক্যা করছেন। উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যই নন।” রাজকুমারী কেশরীর আরও বলেন, ”২০০৫ সালে যিনি সংসদে দাঁড়িয়ে স্পিকারের দিকে কাগজ ছুঁড়ে ‘এনআরসি’ চাই বলেছিলেন, আর আজ দিদির কী এমন হয়ে গেল যে উলটে গেলেন? ওনার চরিত্রেরও দোষ আছে।”
সভা শেষে তিনি আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তখনও নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বিজেপি নেত্রী বলেন যে তিনি যথাযথভাবেই ওসব বিশেষণ প্রয়োগ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাজকুমারী কেশরীর এমন নজিরবিহীন ভাষাপ্রয়োগে স্বভাবতই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার প্রতিক্রিয়া, ”বিজেপি নেতানেত্রীরা কুকথায় পিএইচডি করেছেন। সাধারণ মানুষও তা বুঝেছেন ঝাড়খণ্ডের ফলাফলে। আগামী দিনে এর প্রভাব পড়বে ওদের ভোটবাক্সে।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র স্ত্রী সুজাতা। প্রায় ১০০ জন সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.