Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘ভোট নয়, পাশে থাকতে চাই’, পাহাড়ে প্রচার সভা থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

গোটা দেশে ১০০ আসনও পাবে না বিজেপি, কার্শিয়াংয়ের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ মমতার৷

Mamata Bannerjee attends a rally at Karseong to support Amar Sing Rai
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 12, 2019 4:19 pm
  • Updated:June 22, 2022 2:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুতেই মুখ ফসকালেন৷ দীর্ঘদিনের অভ্যাসবশত শুক্রবার কার্শিয়াংয়ের প্রচার সভা থেকে বিমল গুরুংকে স্বাগত জানিয়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সভা থেকে সমস্বরে বিরোধিতা হতেই ভুল বুঝতে পেরে ব্যাখ্যাও করলেন৷ স্বীকার করলেন, বিমল গুরুং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী৷ কিন্তু অন্তিমত গুরুংয়ের কৃতকর্মের জন্য তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করতে পারেনি৷ এটুকু হোঁচট খাওয়া ছাড়া অবশ্য এদিন দার্জিলিংয়ের প্রার্থী অমর সিং রাইয়ের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পুরোটাই ছিল তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক সভার মতোই টানটান, আক্রমণাত্মক৷

                                             [ আরও পড়ুন: প্রচারে বাধা পুলিশের, থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অনুপম হাজরা]

বক্তব্যের শুরুতেই জানালেন, শুধুমাত্র ভোট চাইতেই তিনি পাহাড়ে যাতায়াত করেন না৷ পাহাড়বাসীর উন্নতির জন্যই তিনি ভাবেন বলেই সেখানে যান৷ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখলে চাইলে, পাহাড়বাসী যেন জোড়াফুলেই ভোট দেন, সেই আহ্বান জানান৷ এবার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে লড়ছেন সেখানকার ভূমিপুত্র মোর্চা নেতা অমর সিং রাই৷ তবে তৃণমূলের প্রতীকেই লড়ছেন তিনি৷ কেন তাঁকেই প্রার্থী করা হল, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন মমতা৷ জানালেন, গোর্খাদের তিনি সম্মান করেন৷ পাহাড়বাসী যাতে তাঁদের নিজেদের মানুষকেই জনপ্রতিনিধি হিসেব পান, তার জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ মোর্চা নেতা অমর সিং রাইকে৷ পরবর্তীতে পাহাড়ে আইটি এবং কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ পাহাড় এবং সমতলের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কাজ করার কথা বললেন৷ ভোট মিটে গেলে জিটিএ চুক্তিতে রদবদল হবে বলেও জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোর্খাদের জন্য আরও বেশি সুযোগসুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷

Advertisement

                                             [ আরও পড়ুন:  পুনর্নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিজেপি, ভোটপর্ব মিটলেও উত্তপ্ত কোচবিহার]

কার্শিয়াংয়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন বিমল গুরুংরা৷ তাঁদের নাম করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা টাকা কামিয়ে বাইরে চলে গিয়েছেন ব্যবসা করতে৷ তাঁরা মাটির কাছাকাছি ছিলেন না৷ নিজেদের ভাইবোনদের জন্য কোনও কাজ করেনি৷ দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়াকেও ২০১৪’র ভোটে জেতার পর থেকে দেখা যায়নি৷’ বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতার বক্তব্য, ‘দিল্লির নেতারা পাহাড়ে গিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন৷ ওঁরা যাবেন, আসবেন৷ কিন্তু তৃণমূল সর্বদাই পাহাড়বাসীর পাশে থাকবে৷ সেনার নামে আমরা ভোট করি না৷ সেনার নামে রাজনীতি করা মানে তাঁদের অসম্মান করা৷’

                                                       [ আরও পড়ুন: ভোটযুদ্ধে এবার ঘাটালে এই দুই বৃদ্ধই ‘দেব সেনাপতি’]

ফের এনআরসি ইস্যুতে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো পাহাড়বাসীকে সতর্ক করে দিলেন৷ তাঁর কথায়, ‘এনআরসি এখানে কিছুতেই হবে না৷ আপনারা এখন এখানকার নাগরিক৷ এনআরসি করতে দিলে আপনাদের সবাইকে বিদেশি বানিয়ে ছাড়বে৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের নামে আপনাদের এখান থেকে বিতাড়িত করা হবে৷ যেমনটা অসমে হয়েছে৷ তাই বিজেপিকে দিল্লির মসনদে বসতে দেবেন না৷ দার্জিলিং থেকেই সেই বিরোধিতা শুরু হোক৷’ ভোটের ফলাফল নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষের সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়৷ বললেন, ৫৪৩-এর মধ্যে ১০০টি আসনও পাবে না বিজেপি৷ ২০১৪’র পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, অর্থাৎ দার্জিলিং আসনটি যাতে তৃণমূলের হাত ফসকে না যায়, সেই চেষ্টাতেই মরিয়া নেত্রী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement