সন্দীপ চক্রবর্তী: জনতার ঢল তাঁর সঙ্গেই থাকে। তিনি নেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে বাংলার জনতা তাঁর সঙ্গেই। গোচরে-অগোচরে। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৩০ লক্ষের দোরগোড়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জনপ্রিয়তায় হারিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকেও। রাহুলের নিজস্ব ফেসবুক পেজে একই সময়ে অর্থাৎ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ফলোয়ার ২৮ লক্ষ ২৩ হাজারের কিছু বেশি। অন্য আরও কিছু অ্যাকাউন্ট থাকলেও এটিই সর্বোচ্চ মাপকাঠি। আপাতত এগিয়ে বর্ধমান। একটু খোলসা করে বললে, তৃণমূল নেত্রী এবারের ভোটপ্রচারে যতগুলি সভা বা রোড শো করেছেন, সব ক্ষেত্রেই ফেসবুক লাইভ করা হয়েছে মমতার পেজ থেকেই।
পরিসংখ্যান বলছে, বর্ধমানের রোড শো যত মানুষ দেখেছেন, তা সব রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে। শান্তিপুরের উচ্ছ্বাসও অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে নেই। মমতার বর্ধমান রোড শো তাঁর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখেছেন সবমিলিয়ে সাড়ে সাত লক্ষের বেশি মানুষ। চারটি ক্লিপিংসে ধরা হয়েছে মমতার সঙ্গে মানুষের উচ্ছ্বাসের ছবি। ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল ফেসবুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যান ক্লাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিএমসি অফিসিয়াল বা টিএমসি ওয়েস্ট বেঙ্গলের হিসাব আলাদা। শান্তিপুরে পদযাত্রার ছবি দেখে ফেলেছেন পাঁচ লক্ষের মতো মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ লাইক করেছেন ২৯ লক্ষ সাড়ে ৯২ হাজার মানুষ। আর, তাঁর ফেসবুক পেজ ফলোয়ারের সংখ্যা ২৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ভোটের সময় এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে।
রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে জনপ্রিয়তার বিচারে তাঁর ধারেকাছেও কেউ নেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পেজও দৌড়ে এগোচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থীর ফেসবুক পেজ লাইক করেছেন তিন লক্ষ ৫৭ হাজারের বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা এক লক্ষ ৩৪ হাজার। অধীর চৌধুরির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা এক লক্ষ ৩৭ হাজারের বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.