দেব গোস্বামী, বোলপুর: জন্মদিনে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, শান্তিনিকেতনের প্রতীচীতে উপহারও পাঠান তিনি। এদিন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে দেন অমর্ত্য সেনের কাছে। নোবেলজয়ীর হয়ে গীতিকণ্ঠ মজুমদার ও পরিচারিকা রানি মুর্মু উপহার ও শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করেছেন।
১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর শান্তিনিকেতনে জন্মগ্রহণ করেন অমর্ত্য সেন। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দারিদ্র্য এবং দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি বিশ্ববরেণ্য। অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অমর্ত্য সেন নিজেকে ঢাকা এবং কলকাতা দুই শহরেরই সন্তান হিসেবে গণ্য করেন। তবে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তাঁর শিকড়ের টান বলেই বারবার ব্যক্ত করেছেন অমর্ত্য সেন। বাঙালীর গর্ব এই নোবেলজয়ী এদিন ৯১ বছরে পা দিয়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি আমেরিকার বোস্টন শহরে রয়েছেন। প্রতিবছরই অমর্ত্য সেনকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তাঁর অন্যথা হল না।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। নোবেলজয়ীর হয়ে সুর চড়িয়েছিল সবমহল। সেই সময় শান্তিনিকেতনে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। আশ্বাস দিয়েছিলেন পাশে থাকার। পরবর্তীতে মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করে সিউড়ি আদালত। উল্লেখ্য, এদিন প্রতীচীতে অর্মত্য সেনের জন্মদিন উদযাপন করেন শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, পড়ুয়া ও স্থানীয় কবি,লেখক গুণিজনেরা। প্রতীচী দেখভালের দায়িত্বে থাকা গীতিকণ্ঠ মজুমদার জানান, “এবছর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, প্রবীণ আশ্রমিক কল্পিকা মুখোপাধ্যায়, বোলপুর পুরসভার পুর- প্রধান পর্ণা ঘোষ, শান্তভানু সেন-সহ গুণিজনেরা। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর আসতে পারেননি। গান আলোচনায় শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন সকলেই। শান্তিনিকেতনের ইতিহাস ও অমর্ত্য সেনের অবদান প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.