ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ফের দুদিনের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বন্যাকবলিত হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের পর এবার তিনি যাচ্ছেন বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। সম্প্রতি ডিভিসির ছাড়া জলে এই জেলাগুলিতেও বানভাসি হয়েছেন মানুষ। ঠাঁই হয়েছে ত্রাণশিবিরে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। ভেঙে পড়েছে বাড়ি।
এই বিপদের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ সুষ্ঠুভাবে যাতে হয় সেই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলে খবর। সরকারি সূত্রে খবর, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জামালপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। কথা বলবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এর পর তিনি যাবেন বর্ধমান শহরে। সেখানে হবে প্রশাসনিক বৈঠক। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা বৈঠকে থাকবেন। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য, কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখা, কতটা ত্রাণ বিলি হয়েছে, আরও কতটা ত্রাণ প্রয়োজন, এসবের রূপরেখা তৈরি করা। নবান্নে নয়, মুখ্যমন্ত্রী এই কাজগুলি বন্যাকবলিত জেলায় বসেই করতে চান। বর্ধমানে বৈঠকের পর বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার মমতার একইরকম প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে বোলপুরে। বীরভূম জেলায় মাসাঞ্জোর জলাধারের ছাড়া জলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিনিয়ত বন্যা পরিস্থিতির খবর রাখছেন। প্রশাসনিক বৈঠকে বন্যা-সহ বীরভূমের অন্যান্য পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা। উল্লেখযোগ্য, এমন একটি সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে যাবেন, যখন তিহাড় জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ফিরছেন স্বস্থানে। সোমবার দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডাল হয়ে তাঁর বোলপুরের ফেরার কথা। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার মমতা-অনুব্রত সাক্ষাতের সম্ভাবনা প্রবল।
বস্তুত, জুনিয়র ডাক্তাররা যখন সুপ্রিম কোর্টের আবেদন উপেক্ষা করে ধরনায় অটল ছিলেন তখন তাঁদের কাজে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে ডিভিসির জলে বন্যা দেখা দেয় নানা জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যান সাধারণ মানুষের পাশে। চাপের মুখে ধরনা তুলে ডাক্তাররাও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী ছুটছেন জেলায়। এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের সঠিক ব্যবস্থা করা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.