নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুর: কথা দিয়েছিলেন, নারায়ণগড় তাঁর হাতে তুলে দিলে জয়ের পর প্রথম সভাটি এখানেই করবেন৷ কথা রাখলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ইনিংসের জেলা সফর শুরু হচ্ছে নারায়ণগড় থেকেই৷
এখানেই প্রার্থী ছিলেন পূর্বতন বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷ যিনি কি না ২০১১-র প্রবল পরিবর্তনের ঝড়েও নারায়ণগড়ে টিকে গিয়েছিলেন৷ পাশাপাশি সূর্যবাবুকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরেই নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল কংগ্রেস-সিপিএম জোট৷ স্বভাবতই নারায়ণগড় নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল এবারের ভোটেও৷ নির্বাচনী সভায় মমতা আরও ঘোষণা করেছিলেন, সূর্যবাবুকে হারাতে পারলে নারায়ণগড়ের বিখ্যাত ডালের বড়া এখানে এসে খাবেন৷
প্রায় ১৪ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক৷ সোমবার তাই নারায়ণগড়বাসীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ডালের বড়া খাওয়ারও দিন৷ পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে৷ এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাজসাজ রব নারায়ণগড়ে৷ মকরামপুরে মূল মঞ্চটি ৫০ ফুট লম্বা ও ২৮ ফুট চওড়া৷ সভায় অন্তত দেড় লাখ লোক আসবেন ধরে নিয়ে বাঁধা হয়েছে প্যান্ডেল৷
রবিবার আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র ও ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বাস্তব বৈদ্য সভাস্থল পরিদর্শন করেন৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করেন তাঁরা৷ ওদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে গোটা নারায়ণগড়৷ শুধু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই নন, মমতার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সাধারণ মানুষও৷ খাতায়-কলমে সরকারি সভা হলেও এটি কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হতে চলেছে৷
ভোট প্রচারে এসে মমতার ডালের বড়া খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশে সোমবার সভায় উপস্থিত বহু মানুষেরই হাতে হাতে ঘুরবে ডালের বড়া৷ রবিবার রাত থেকেই সেই বড়া তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ সবারই ইচ্ছা, নিজের হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ডালের বড়া দেওয়া৷ নারায়ণগড়ের মানুষের কাছে ১৯ মে’র চেয়েও ১৩ জুন আরও বেশি বরণীয় হতে চলেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.