অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের ‘প্রায়শ্চিত্ত’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চলছে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, ঠিকই তো বলেছেন। কংগ্রেস তো প্রায়শ্চিত্তই করছে।
দলের এক অনুষ্ঠানে আক্ষেপের সুরে ঝরে পড়ছিল প্রবীণ রাজনীতিক তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যর গলায়। আফসোস নিয়ে ভরা মঞ্চে তিনি বলেছিলেন, “সেদিন মমতাকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। আজও প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে।” তাঁর আরও সংযোজন,”মমতাকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করতে বারণ করেছিলাম। নেতৃত্বের চাপে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন সোমেন মিত্র।” এনিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর থেকে ফিরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের পিছনের হেলিপ্যাড থেকে নবান্নে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। প্রদীপ ভট্টাচার্যের মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, “ঠিক বলেছেন।” আর একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি।
প্রায় তিন দশক আগে কংগ্রেস এবং তৎকালীন দলের যুবনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল, তা আজ সকলেই জানেন। যুবনেত্রী থেকে জনপ্রিয়তা সিঁড়ি বেয়ে শীর্ষে চলে যাওয়ার পর সোমেন মিত্র-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চোরা দ্বন্দ্ব দেখতে পায় দল। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মমতাকে বহিষ্কার করে সোমেনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এসবের নেপথ্য নায়ক ছিলেন সীতারাম কেশরী। সেই খেদ আজও ভুলতে পারেননি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেই ফেলেন, “সেদিন সোমেনের উপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল যে মমতাকে বহিষ্কার করতে তিনি বাধ্য হন। তার প্রায়শ্চিত্ত আজও কংগ্রেসকে করতে হচ্ছে।” তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে দলের অন্দরে জলঘোলা হলেও পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.