Advertisement
Advertisement

Breaking News

CAA Law

CAA-র পোর্টালে আবেদন করলেই বাতিল হবে নাগরিকত্ব: মমতা

হাবরার সভা থেকে তিনি বললেন, ''এর কোনও ভিত্তি নেই, ভোটের আগে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। উনিশের আগেও অসমে এরকম করেছিল। ১৪ লক্ষ মানুষকে NRC-র আওতায় এনে। এটা বেআইনি খেলা। এটা বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। ভাবছে মারলাম ছক্কা। কিন্তু আসলে পুট।'' 

Mamata Banerjee strongly opposes CAA Law from Habra and attacks BJP
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 12, 2024 1:15 pm
  • Updated:March 12, 2024 2:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA কার্যকর হওয়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দোরগোড়ায়। বরাবরের মতো এবারও CAA (CAA Law) বিরোধিতায় সুর একেবারে সপ্তমে চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাবরার সভা থেকে তিনি বললেন, ”এর কোনও ভিত্তি নেই, স্বচ্ছতা নেই। ভোটের আগে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। উনিশের আগেও অসমে এরকম করেছিল। ১৪ লক্ষ মানুষকে NRC-র আওতায় এনে। এটা বেআইনি খেলা। এটা বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। ভাবছে মারলাম ছক্কা। কিন্তু আসলে পুট। জেনে রাখবেন, এর সঙ্গে NRC যুক্ত আছে। পরের ধাপ NRC।” 

তাঁর সাবধানবাণী, ”যেই CAA পোর্টালে দরখাস্ত করবেন, তখনই আপনাদের এতদিনকার নাগরিকত্ব (Citizenship) বাতিল হবে। এতদিন যে সুযোগ সুবিধা পেতেন, তা বাদ হয়ে যাবে। তাই দরখাস্ত করার আগে ভালো করে ভেবে দেখবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ভাঁওতা, জুমলা। আগে আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। তার পর CAA-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু সেই অধিকার আবার ফিরে পাবেন কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই কলকাতায় গা ঢাকা! পার্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার বাহরিনের জার্মান রিফিউজি]

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বার বার শোনা গেল CAA-র ‘বিপদ’। বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে তিনি বললেন, ”যাঁরা এতদিন নাগরিক ছিলেন, তাঁরাই হয়ে যাবেন অনুপ্রবেশকারী। আপনাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। আপনাদের জায়গা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। আমি থাকতে রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হতে দেব না এখানে। জীবন দিয়ে দেব, তবু কারও নাগরিকত্বের অধিকার কাড়তে দেব না। কেউ বঞ্চিত হলে আমরা আশ্রয় দেব। এই আইন কার্যকর করার কোনও পদ্ধতি বিজ্ঞপ্তিতে বলা নেই। আমি বলি, এই আইন অসাংবিধানিক এবং বিভেদকামী। নইলে কেন তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?” 

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে শিয়ালদহ শাখায় বাতিল ১৪৩ লোকাল, রুট বদল বহু ট্রেনের, প্রবল ভোগান্তির আশঙ্কা]

বঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করে মমতার আরও বার্তা, ”আপনাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আপনারা বহাল তবিয়তে বাংলায় থাকুন। কারও কিচ্ছু হবে না। কারও কিছু হলে আমরা আপনাদের আশ্রয় দেব। আইনটা সরিয়ে ফেলুন। আগামী দিনে সাবধানে থাকতে হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement