Advertisement
Advertisement

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটান, বিজেপিকে রুখতে নদিয়া জেলা নেতৃত্বকে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

বললেন, জেলার দুটি লোকসভা আসনই চাই৷

Mamata Banerjee sounds Lok Sabha bugle in Nadia
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 27, 2018 5:56 pm
  • Updated:July 27, 2018 5:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলায় তাঁদের সাজানো বাগানে থাবা বসিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ বিষয়টা ভালই বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই লোকসভার আগে তড়িঘড়ি ঘর গোছাতে নামলেন তিনি৷ নদিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে ডেকে স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিলেন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটানোর৷ বললেন, জেলার দুই লোকসভা আসন রাণাঘাট ও কৃষ্ণনগরেই জয়ী হতে হবে দলকে৷ এই বিষয়ে তিনি শুনবেন না কোনও অজুহাত৷ জেলার দায়িত্ব সামলানোর জন্য গড়ে দিলেন বিশেষ কোর কমিটি৷

মাসদুয়েক আগে শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় তৃণমূলকে হারাতে একজোট হয়েছিলেন বিরোধীরা। জাতীয় স্তরের বিজেপিকে রুখতে ঠিক যে ফর্মুলা ব্যবহার করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় সেখানে অঘোষিত মহাজোট গড়েছিল বাম-কংগ্রেস-বিজেপি৷ যেখানে যে দলের শক্তি বেশি সেখানে তারাই প্রার্থী দেয়৷ এমনকী, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সিপিএম বা কংগ্রেস কিংবা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন। আবার যেখানে বিজেপির সংগঠন মজবুত সেখানে তারা প্রার্থী দিলেও কংগ্রেস, সিপিএম কোনও প্রার্থী দেয়নি৷ নদিয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩২০৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩৫৪৪টি, বিজেপি ২১৮০, সিপিএম ১৬৪২ ও কংগ্রেস ৩৫০টি-তে মনোনয়ন দাখিল করে। পঞ্চায়েত সমিতির ৫৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৬৩৩, বিজেপি ৪৩২, সিপিএম ৩৬৭, কংগ্রেস ৬৫টি-তে মনোনয়ন দাখিল করে। জেলা পরিষদের ৪৭ টির মধ্যে তৃণমূল ৫১, বিজেপি-৫২, কংগ্রেস-১৩, সিপিএম ৪৩টি মনোনয়ন দাখিল করে। এর মধ্যে সীমান্তের করিমপুর দুই ব্লকের নতিডাঙা এক ও দুই, নারায়ণপুর এক ও দুই, ধোড়াদহ এক পঞ্চায়েতের অর্ধেক ও দুই পঞ্চায়েতে সিপিএম, নির্দল, কংগ্রেসই অধিকাংশ প্রার্থী দেয়। আবার মুরুটিয়া, দীঘলকান্দি, রহমতপুর, নন্দনপুর বা ধোড়াদহ এক পঞ্চায়েতের অর্ধেক অংশে বিজেপি বেশি প্রার্থী দেয়।

Advertisement

সূত্রের খবর, শুক্রবারের সাংগঠনিক বৈঠকে জেলার পঞ্চায়েতের ফলাফলের পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই জেলায় গড়ে দেন একটি কোর কমিটি৷ যার সদস্য করা হয়েছে, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, জেলা সভাপতি গৌরিশংকর দত্ত প্রমুখকে৷ নির্দেশ দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলার নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলে তা যেন তাড়াতাড়ি মিটিয়ে ফেলা হয়৷ কারণ এই জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভুগতে হয়েছে দলকে৷ এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের সুযোগে নদিয়ার মতো সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইতিমধ্যেই তাদের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়েছে বিজেপি৷ সকলের চোখের আড়ালে জেলার নমশূদ্র ভোটে থাবা বসিয়েছে পদ্ম শিবির৷ পরবর্তীকালে তিনি যে এই অবস্থা বরদাস্ত করবেন না তা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌরিশংকর দত্তের ছেলেকে সরিয়ে দেওয়ারও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement