সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহার কেন্দ্রে ভোটের দিন গোলমাল পাকিয়ে বিএসএফকে দিয়ে ভোট করিয়ে নিতে পারেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক! নির্বাচনী প্রচারে সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তৃণমূলের উদয়ন গুহকে ‘ঠান্ডা’ থাকার পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের একাংশকেও সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শও শোনা গেল তাঁর গলায়।
শুক্রবার দিনহাটায় প্রচারসভা করেন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে প্রচারসভা ছিল তাঁর। ভোটের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “উদয়নকে বলব, ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। ঠান্ডা মাথায় ভোটটা করতে হবে। ও (নিশীথ প্রামানিক) তোমাকে গন্ডগোলে জড়িয়ে দিয়ে বিএসএফকে দিয়ে ভোটটা করিয়ে নেবে। ভুলেও এটা করতে দিও না। আগে থেকে নিজেকে তৈরি রাখো।” আমজনতার উদ্দেশ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দাবি, “শান্তি বজায় রাখুন।” ভোটের মরশুমে তাঁর পরামর্শ, “মাখা ঠান্ডা রাখুন। ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।”
রাজ্য প্রশাসনকেও সতর্ক করেন মমতা। তাঁর কথা, “প্রশাসনকে বলব, এখানে ১৯ তারিখ ভোট। ১৭ তারিখ ৫টার পর এখানে যেন একটাও মিছিল-মিটিং না হয়।” একইসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি, “বাইক বাহিনীকে যদি অ্যালাও করেন, বিএসএফের সঙ্গে যোগসাজশ করেন, তাহলে মনে রাখবেন আমজনতা আপনাকেও একদিন বিতাড়িত করবে। আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না।”
এর পর স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও ‘চুপ’ থাকার অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নিশীথ গুন্ডা নিয়ে ঘুরে বেরায়, মানুষের উপর অত্যাচার করে। আর প্রশাসন সব দেখেও চুপ করে থাকে। এর পরই তৃণমূলের সভানেত্রীর প্রশ্ন, এতো ভয় কিসের? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তাহলে ২ মাস পর কী করবেন? তার চেয়ে এখনই দিল্লি চলে যান। হয় দিল্লি চলে যান নয়তো নিশীথের বাড়ি গিয়ে বসে থাকুন, তাহলে আর আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না।” শেষে তাঁর হুঁশিয়ারি, “কোচবিহারের যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.