সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ওঁরা যদি নোটবাতিল করে আপনাদের চাকরি বাতিল করে পারে, তাহলে আপনারা কেন মোদিবাবুকে বাতিল করবেন না?’ হুগলির শ্রীরামপুরে জনসভায় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু মোদি বিরোধিতাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় হুগলি জেলায় উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি।
লোকসভা ভোটে প্রথম তিন দফায় ভোটগ্রহণ মিটেছে উত্তরবঙ্গে সবক’টি আসনেই। ভোট হয়ে গিয়েছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দুটি আসনেও। পঞ্চম দফায় ৬ মে ভোট হুগলি জেলার তিনটি লোকসভা আসনে। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণের দিন আরামবাগে দলের প্রার্থী অপরূপা পোদ্দারের সমর্থনে জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হুগলিরই শ্রীরামপুরে জনসভা করলেন তিনি।
শুক্রবার শ্রীরামপুর স্টেডিয়াম মাঠে জনসভা শুরুতে হুগলি জেলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২০২২ সালে দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলছে মোদি সরকার। আর এ রাজ্যে আগে কৃষকরা যা আয় করতেন, এখন তার থেকে দ্বিগুণ আয় করেন। মিউটেশন ফি, এমনকী খাজনাও মকুব করে দিয়েছে সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের কোনও রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাওয়া যায় না। এরপর উন্নয়ন ও এনআরসি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফের মোদিকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই রান্নার গ্যাস, পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়েছে মোদি সরকার। মোদি জমানায় ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন, ১২ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। নির্বাচনী জনসভায় যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘নোটবন্দি করে কালো টাকা উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আপনারা কী পকেটমানি পেয়েছেন?’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কালো টাকা সব বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন মোদি। সেই টাকা এখন নির্বাচনে খরচ করা হচ্ছে। দিল্লিতে নতুন সরকার ক্ষমতা এলে সব দুর্নীতির পর্দাফাঁস হবে। বিজেপি বিরুদ্ধে ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগও তোলেন মমতা। শ্রীরামপুরের পর কৃষ্ণনগরেও দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথে বর্ধমান শহরে রোড-শোও করেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.