চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক
অরূপ বসাক, মালবাজার: চা বাগানে কীটনাশক ব্যবহার করা হলে, সেখান থেকে আর কেনা হবে না চা। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকায় বিপাকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং ডুয়ার্সের বহু চা শ্রমিক। বিপাকে অন্তত ১০ লক্ষ চা শ্রমিক। সমস্যা সমাধানে বুধবার চালসায় চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। ভোট মিটলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
চা পাতাকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে অনেক সময়ই কীটনাশক ব্যবহার করেন শ্রমিকরা। সে কারণে চা বাগান থেকে পাতা কেনা হচ্ছে না। প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বহু চা শ্রমিক। তবে বুধবার সেই সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করলেন মমতা। আইভিল চা বাগানে নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমি সকলকে অনুরোধ করেছি, যাতে কেউ কাজ বন্ধ না করেন। কেন সমস্যা হচ্ছে সেটা নির্বাচনের পর খতিয়ে দেখব। সব কিছু সংশোধন করার একটা সুযোগ যেন দেওয়া হয়। নির্বাচনের পর সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সঙ্গে প্রশাসন বৈঠক করবে। তার পর সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
চা পাতা কেনা যাতে বন্ধ না করে তাই বটলিফ কারখানাগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি বলেন, “এখন যেন কারও কাজ বন্ধ না হয়, তা দেখার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি। এটা মানবিক কারণেই করা হবে। ভোটের পর বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি দেখবে।”
চা শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্র কিছু করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, “১০ লক্ষ চা বাগান শ্রমিক বেকার। কী কারণে চা বাগান বন্ধ তা জানায়নি কেন্দ্র। আগে বাংলার লোককে টি বোর্ডে রাখা হত। এখন কাউকে রাখা হয় না। কেন্দ্র চা শ্রমিকদের জন্য কিছু করেনি।” ভোটের পর চা শ্রমিকদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.