Advertisement
Advertisement

Breaking News

Digha Jagannath Temple Inauguration

শ্রীক্ষেত্র দিঘা, জগন্নাথধাম উদ্বোধনের আগে মহাযজ্ঞে বসবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

বিকেল চারটেয় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!

Mamata Banerjee herself will take part in Yajna at Digha Jagannath temple before inauguration

ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 29, 2025 8:54 am
  • Updated:April 29, 2025 1:56 pm  

কিংশুক প্রামাণিক, দিঘা: সৈকতনগরী কার্যতই এখন জগন্নাথধাম! আজ বিকেল চারটেয় এক সন্ধিক্ষণ। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে যে মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল চারটেয় মাহেন্দ্রক্ষণে সেই যজ্ঞে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই আহুতি দেবেন। চলবে আরও আচার-উপাচার। আর অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার। মহাযজ্ঞে ব্যবহার করা হচ্ছে ১০০ কুইন্টাল আম ও বেল কাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি। যজ্ঞকুণ্ডে কলস স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে মঙ্গল কলসে আনা হয়েছে জল। মহাযজ্ঞের সমাপ্তির পর তিন দেবদেবীকে সুসজ্জিত খাটে ঘুম পাড়ানো হবে। ৩০ তারিখ তাঁদের ঘুম ভাঙিয়েই প্রাণপ্রতিষ্ঠা-স্নানপর্ব ও পুণ্যাভিষেক। ৫৬ ভোগ-প্রসাদ দেওয়া হবে প্রভু জগন্নাথকে।

মন্দির চত্বর ঘুরে দেখে সকলের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: সোশাল মিডিয়া।

আলোকমালায় সেজে উঠেছে দিঘা (Digha)। ভেসেছে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। চারদিকে বেজে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া জগন্নাথের গান – ‘তোমায় মোদের আস্থা, তোমায় মোদের বিশ্বাস, তোমায় ভালবাসা। পুণ্য করো, পুণ্য করো, পুণ্য করো। ধরায় এসো, ভালবাসো। জয় জগন্নাথ। জয় জগন্নাথ। জয় জগন্নাথ জয় হে।’

Advertisement

কলকাতা থেকে দিঘা পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার পথে অসংখ্য তোরণ। সেখানে প্রভু জগন্নাথ ও মন্দিরের ছবি। উৎসাহীদের ভিড় লেগেই রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে যে ভিড় আরও বিপুল হারে বাড়বে, তা নিয়ে প্রশ্ন নেই। বাংলার বুকে এটি মেগা আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। তার বিপুল আয়োজনেও কোনও ঘাটতি নেই। গোটা বিষয়টির তদারকিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক হয়েছে, বুধবার যাঁরা মন্দিরে যাবেন তাঁদের গরমে যাতে কষ্ট না হয়, তাই গামছা দেওয়া হবে। প্রথমে ১২ হাজার গামছার আয়োজন থাকলেও পরে ঠিক হয়, ২২ হাজার গামছা দেওয়া হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যাতে কোনও সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়। তাই অতিথি আপ্যায়ন থেকে গাড়ি পার্কিংয়ের খুঁটিনাটি – সবটাই তিনি খতিয়ে দেখেছেন।

দিঘা ঘুরে বেড়িয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সোশাল মিডিয়া।

মন্দিরের আচার পালনে ইসকনের ৬০ জন যুক্ত রয়েছেন। আর মন্দিরের পুজোপালনে রাজেশ দ্বৈতাপতি-সহ ৩৫ জন রয়েছেন। পুরী থেকেও এসেছেন অনেকে। রাজেশ দ্বৈতাপতি ও ইসকনের রাধারমণ দাসকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন।

সোমবার দিঘা পৌঁছে রাজেশ দ্বৈতাপতির সঙ্গে আলোচনা মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মন্দিরের একপাশে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আরেকপাশে ভিডিও দিয়ে দেখানো হবে। সামনের চাতালে রয়েছে ভক্তদের বসার আয়োজন। সেই সবই খুঁটিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী। রয়েছেন হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজিপি রাজীব কুমার ছাড়াও নিরাপত্তা বিষয়ক ডিজি। কার্যত শশব্যস্ত প্রশাসন। আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কারও যেন কোনও সমস্যা না হয়।

মন্দির সামনে চেয়ার ও কার্পেট বিছানো হচ্ছে। সোমবার দিঘা পৌঁছে নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, নচিকেতা, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়দের সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁরা মঙ্গলবার অনুষ্ঠান করবেন। শিল্পপতিদের নির্দিষ্ট হোটেলে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁদের সমস্যা হচ্ছে কি না জেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের থাকার আয়োজন নিয়েও খোঁজখবর নেন। এমনকী, ডেকরেটার্স, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকদের সঙ্গেও কথা বলেন। আগেরবার এসে দেখেছিলেন, চৈতন্যঘাট ঠিক নেই, এবার সেটাও দেখে নিলেন এবার। বস্তুত সোমবার সারা দিঘা চষে বেড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement