ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহারের মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ বলে চিহ্নিত করে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার বনগাঁ দক্ষিণের নির্বাচনী সভা থেকে অমিত শাহর (Amit Shah) পদত্যাগ দাবি করলেন তিনি। স্পষ্ট বললেন, ”কোচবিহারে আমাদের ৪ ভাইকে গুলি করে মেরেছে দিল্লির পুলিশ। সকালেও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পিছনে ষড়যন্ত্রকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত, গলায় দড়ি দেওয়া উচিত। আমি বলছি, অমিত শাহ, আপনি পদত্যাগ করুন।” এরপরই তিনি জানান, রবিবারই তিনি কোচবিহার যাচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে রবিবার রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও করেন তিনি। কালো ব্যাজ পরে ব্লকে ব্লকে ধিক্কার মিছিল করবেন দলীয় নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।
শনিবার ভোট শুরুর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি বিধানসভার জোড়পাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ৪ জনের। আহত আরও চারজন। এঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি শাসকদলের। বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, মৃত ৪ জনই তাদের সক্রিয় কর্মী। গোটা ঘটনায় বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে স্বভাবতই চতুর্থ দফা ভোটের দিন অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ল।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সোজা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তিনি বঙ্গের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভূমিকার নিন্দা করে মহিলা ভোটারদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে বাহিনীকে ঘেরাও করুন। শনিবার কোচবিহারের ঘটনায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ফের অমিত শাহকে নিশানা করলেন। বললেন, ”অনেকদিন ধরেই বলছি, উনি ষড়যন্ত্রকারী। অমিত শাহ, আপনি পদত্যাগ করুন।” এদিন শিলিগুড়ির সভা থেকে নরেন্দ্র মোদিও বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশের পর কার্যত শাসকদলের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন।
এদিকে মাথাভাঙায় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর। তাঁর কথায়, “এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার চিকিৎসা করছিল স্থানীয় কয়েকজন। সেই সময় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল বাহিনীর কয়েক জন জওয়ান। ঠিক তখন গুজব ছড়ায়, CISF’এর মারে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার পরই প্রায় তিনশো গ্রামবাসী, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, জওয়ানদের ঘিরে ধরে। উত্তেজনা ছড়ায়। অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। এমনকী, ব্যালট ছিনতাইয়ের অবস্থা তৈরি হয়। তখন আত্মরক্ষার্থে নিয়ম মেনেই গুলি চালায় বাহিনী। ১৫ রাউন্ড গুলি চলে, ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।” বিবৃতি দিয়ে CRPF আবার দাবি তুলেছে, ঘটনাস্থলে তাদের জওয়ানরা ছিলেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.