ফাইল ফটো
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানেই হারছে বিজেপি। লোকসভার পর ওদের উদ্ধত্য অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। আজ তার যোগ্য জবাব পেয়েছে।’ দিল্লিতে ‘কেজরিওয়াল ৩.০’ নিশ্চিত হতেই বাঁকুড়ায় আয়োজিত তৃণমূলের বুথ কর্মী সম্মেলনে গিয়ে এই মন্তব্যই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকালে ভোটগণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ বাদে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ফলাফলের বিষয়টি। এরপরই তৃতীয়বার দিল্লির ক্ষমতায় আসার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন দেশের বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। প্রথমে ফোন করে ও পরে টুইট করে তাঁকে অভিনন্দন জানান মমতা। এর উত্তরে ফোনে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এখন থেকেই শপথে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেন কেজরিওয়াল। বাঁকুড়ার সভা থেকে কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘ওনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছি। উনিও আমাকে শপথে উপস্থিত থাকার জন্য বারবার করে অনুরোধ করেছে। আজ আমি খুব খুশি হয়েছি। কারণ, দিল্লিতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। আর ওনার দলের জয় প্রমাণ করল আঞ্চলিক দলগুলি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যেখানেই আঞ্চলিক দল আছে সেখানে তারাই শক্তিশালী। আর কংগ্রেস শূন্যে পৌঁছে যাচ্ছে। দিল্লি বিধানসভার ফল প্রমাণ করেছে, মানুষ NRC ও CAA প্রত্যাহার করেছে। বিভাজন নয় শুধুমাত্র উন্নয়ন চায় তাঁরা। আশা করব এরপর NRC ও CAA প্রত্যাহার করবে সরকার।’
এরপরই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশজুড়ে বিদ্বেষের রাজনীতি করছে বিজেপি। রাজনীতি হোক শান্তি,উন্নয়ন ও দেশের ভালর জন্য। বিজেপি ভাগাভাগির রাজনীতি করে। তবে এর ফলও হাতে নাতে পাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের দিকে তাকান, ঝাড়খণ্ডের দিকে তাকান আর সব শেষে দিল্লি। ওরা ছড়াচ্ছিল ঘৃণার রাজনীতি। কিন্তু, গণতন্ত্রের জয় হল। কেজরিওয়ালের জয় হল। বিজেপি মানুষ খুন করছে, ঘৃণা ছড়াচ্ছে। সব রকমের অপপ্রচার ছড়াচ্ছিল বিরোধীদের নামে। টাকা ছড়াচ্ছিল। মানুষ বিভাজনের রাজনীতি চায় না। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতে শুরু করেছিল। একসময় কেজরিওয়ালকেও প্রচণ্ড বিরক্ত করেছিল। এবারেও একটা কেন্দ্রীয় সরকার তার সর্বোচ্চ এজেন্সি দিয়ে দিল্লি দখল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, মানুষের জন্য তা করতে পারেনি। আসলে মানুষ সংকীর্ণ ভাগাভাগির রাজনীতির পছন্দ করে না। তার চাকরি চাই. উন্নয়ন চাই। তাই AAP’র জয় আর বিজেপির পরাজয়ে আমি খুশি। ঘৃণার রাজনীতির এই দেশে কোনও জায়গা নেই।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.