সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাইভোল্টেজ প্রচারে ফের উত্তরবঙ্গে মোদি-মমতা দ্বৈরথ৷ কোচবিহারে সভা মঞ্চ থেকে মমতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মোদি৷ তার পালটা হিসাবে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির নির্বাচনী প্রচার মঞ্চকেই বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কড়া ভাষায় বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷
লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্যু হিসাবে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান বেশ শক্তপোক্ত৷ সেই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আক্রমণের ফলা শানাতে চাইছেন শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই৷ ময়নাগুড়িতে রবিবার প্রার্থী বিজয় বর্মনের জন্য প্রচারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনী সভায় ওই একই ইস্যুকে হাতিয়ার করলেন তিনি৷ পাহাড়ে অশান্তির নেপথ্যে বিজেপির আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী জন বারলা যোগ ছিল বলেই অভিযোগ করেন৷ আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, ‘‘তরাই-ডুয়ার্সে দাঙ্গা করেছিল জন বারলা৷ পাহাড় এবং সমতলে ভাগাভাগি করতে চেয়েছিল৷ সেই আগুন নিভিয়েছি আমরা৷’’ পাহাড়ের শান্তি বজায় রাখতে জন বারলাকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারদের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যে অশান্তির আবহ বজায় রয়েছে বলে বারবারই অভিযোগের সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির৷ সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সর্বত্রই যে শান্তির বাতাবরণ বজায় রয়েছে তাই এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷
মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় চা বাগান৷ আচমকা বিপাকে পড়েন কর্মহীনরা৷ এই প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘মাদারিহাটে দাঁড়িয়ে মোদি বলেছিলেন ৭টি বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করবে কেন্দ্র সরকার৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত একটাও করেনি৷ শুধু মিথ্যে কথা৷’’ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও আরও একবার অভিযোগ করেন তিনি৷ এদিনের সভা থেকে মোদিকে ‘বসন্তের কোকিল’ এবং ‘মহম্মদ-বিন-তুঘলকের ঠাকুরদাদা’ বলেও তোপ দাগেন মমতা৷ কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা৷ ক্ষমতায় এলে পাহাড়ের আরও উন্নয়ন হবে বলেও দাবি তাঁর৷ আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটাতেও একটি জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর৷ আগামিকাল কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে সভা করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ সেখান থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.