ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটের দায় বড় বালাই। তাই উত্তরকাশীতে ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েনের পরেও ফের টানেলের কাজে যোগ দিয়েছেন কোচবিহারের মানিক তালুকদার। কাজের দায়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন উত্তরকাশী বিপর্যয়ের সাক্ষী হুগলির আরও দুই যুবকও। শুধু তিনজনই নন, স্রেফ পেটের দায়ে বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়া শ্রমিকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বুধবার মালদহের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও একবার বাংলায় ফিরে আসার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকার ‘ইকোনমিক করিডর’ তৈরি করেছে বলেই দাবি মমতার। তিনি বলেন, “ইকোনমিক করিডর করেছি কারণ তবেই চাকরির একটা সুবিধা হবে। ডানকুনি-কল্যাণী ইকোনমিক করিডর হচ্ছে। ডানকুনি, বর্ধমান, বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া যাচ্ছে। পানাগড়েও হচ্ছে। ডানকুনি-হলদিয়া হচ্ছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের জন্য আরও দুটি ফ্রেট করিডর হচ্ছে। গতকাল কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পানাগড়, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার পর্যন্ত ফ্রেট করিডর হবে। অনেকের কর্মসংস্থান হবে।”
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আপনারা ফিরে আসুন। এখানে কাজের অভাব নেই। ব্যবসা করতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। দোকান খুলুন, রেশম চাষ করতে পারেন। ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণ নেই।” এর আগেও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “আমি ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করেছি। যদি মুর্শিদাবাদ কিংবা মালদহের কোনও পরিবার ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া পরিজনদের খোঁজ না পান, তাহলে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পাবেন। যদি ফিরিয়ে আনতে চান, ফিরিয়ে আনব। তবে অবশ্যই ভোটার লিস্টে নাম তুলুন। নইলে এনআরসি করে দেবে বিজেপি। থাকতে দেবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.