Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Bala

প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছেন মমতাবালা! তোপ বিজেপির, পালটা তৃণমূলের

নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির।

Mamata Bala is accused of illegally getting job for her daughter

ফাইল চিত্র

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:May 10, 2024 7:53 pm
  • Updated:May 10, 2024 7:55 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসির কর্তাব্যক্তিরা। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলও করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দুর্নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল হরিচাঁদ গুরুচাঁদ  বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগকারী বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল সাংবাদিক সম্মেলনে একটি কাগজ নিয়ে দাবি করেছেন, যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেয়েকে ডেটা এন্ট্রি পদে নিয়োগ করিয়েছেন মমতাবালা (Mamata Bala Thakur)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চাপ দিয়ে অভিযোগ তোলাচ্ছে তৃণমূল, সন্দেশখালি ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জাতীয় মহিলা কমিশনের]

তাঁর আরও দাবি, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। এমনকী নিয়োগপত্রে রেজিস্ট্রার নয়, সই রয়েছে সাব রেজিস্ট্রারের। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “বিজেপি মিথ্যাচার করছে। আমার মেয়ে কাজের বিনিময়ে কোনও পারিশ্রমিক নেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে বিনামূল্যে কাজ করছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কোনও বেনিয়ম হয়নি। অস্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব এক্তিয়ার রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। পাশাপাশি যাঁদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও বেতন পাননি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রেজিস্ট্রার আনন্দী বাগচী বলেন, “উপাচার্য না থাকলে কাজকর্ম দীর্ঘদিন আটকে রাখা সম্ভব নয়। আমরা নিরুপায় হয়ে পড়ুয়ারের স্বার্থে এই নিয়োগ করেছি।”

উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে দীর্ঘদিন উপাচার্যহীন ছিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সম্প্রতি নতুন উপাচার্য পেয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

[আরও পড়ুন: গোধরা, পুলওয়ামার সঙ্গে সন্দেশখালির তুলনা অভিষেকের, তোপ বিজেপিকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement