Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা

একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল পঞ্চায়েতের সর্বস্তরের সদস্যদের ভাতা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ব্রাত্য শুধু সরকারি কর্মীরা!

Mamata announces allowance increase for civic body representatives
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 22, 2019 4:15 pm
  • Updated:July 22, 2019 7:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত স্তরে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়েছে। লোকসভা ভোটেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২৫ টি গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের ১৬টিই জিতেছে বিজেপি। তাই ভোট মিটতেই ফের পঞ্চায়েত স্তরে মনোনিবেশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে তাঁদের ভাতা বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ঘোষণা করা হয় ভাতাবৃদ্ধির কথা।

[আরও পড়ুন: শাসকদলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ, ‘শহিদ’ পরিবার নিয়ে রাজধানীর পথে বঙ্গ বিজেপি]

২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল পঞ্চায়েত স্তরে জনসংযোগে জোর দিতে। আর জনসংযোগের কাজটি জনপ্রতিনিধিদের থেকে ভাল হয়তো আর কেউ করতে পারবেন না, তা মমতার চেয়ে ভাল আর কেউ বোঝেন না। সম্ভবত সেকারণেই হয়তো জেলা পরিষদের সদস্যদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা।

Advertisement

সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৮০০ জন পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই ভাতাবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রাজ্যে ৪৮৬৪৯ গ্রামসভার সদস্য আছে। ৯২১৭ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ৮২৫ জেলা পরিষদের সদস্য আছে। অনেক সময় আমরা ওঁদের দোষগুণ আলোচনা করি। কিন্তু ওঁদেরও অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও কাজ করতে হয়। সেগুলোও আমরা বিবেচনা করে দেখছি। এতদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ৬,৬০০ টাকা পেতেন। সেটা আমরা ৯০০০ করলাম। আমাদের সহকারী সভাধিপতি ৫০০০ টাকা পেতেন, সেটা ৮০০০ টাকা করা হল। কর্মাধ্যক্ষদের ৪০০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০০ টাকা করা হল। জেনারেল মেম্বারদের ১৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের ৩৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০০ টাকা করা হল। ৩০০০ টাকা সহ সভাপতিরা পেতেন তাঁদের করা হল ৫৫০০ টাকা। কর্মাধ্যক্ষ ২৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা ভাতা বৃদ্ধি হল। সাধারণ সদস্যরা যারা ১৫০০টাকা পেতেন তাঁদের ৩৫০০টাকা।”

[আরও পড়ুন: বনগাঁ মামলার জের, হাই কোর্টে বিচারপতির এজলাস বয়কট রাজ্যের আইনজীবীদের]

জনপ্রতিনিধিদের এই ভাতা বাড়ানোটা অবশ্য ভালভাবে দেখছে না বিরোধীদের একাংশ। বিশেষ করে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির দীর্ঘদিনের দাবি যেখানে এখনও পূরণ হয়নি, প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ পিআরটি স্কেলের দাবিতে অনশন পর্যন্ত কমছে। সেখানে পঞ্চায়েত সদস্যদের বেতন বাড়ানোটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, এর আগে বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির পরও একই প্রশ্ন উঠছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement