ফাইল ছবি।
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: শেষ রক্ষা হল না। সঙ্গিনীকে নিয়ে দুই হাতির লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে কোমর ভেঙে গিয়েছিল এক দাঁতালের। তাকে সুস্থ করা দূর অস্ত, হাজার চেষ্টাতেও বাঁচানো গেল না। দিন চারেক পর কোমর ভেঙে জখম হওয়া হাতিটির (Elephant) মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সকালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ঘটনায় মন খারাপ বনদপ্তরের কর্মীদের। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও (ADFO) নবজিত দে বলেন, “আমরা আর বাঁচাতে পারলাম না। জখম দাঁতালটি মারা গিয়েছে। আইন মেনে এই মৃত হাতির দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পর মৃতদেহ সৎকার করে দেব আমরা।”
গত শুক্রবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের (Jaldapara National Park) তিতির জঙ্গলে হলং নদীর পাশে কোমর ভেঙে পড়ে থাকা দাঁতালটি বনদপ্তরের নজরে আসে। তার পর জখম এই দাঁতাল হাতিটিকে ক্রেন দিয়ে নদী থেকে তুলে পাড়েই চিকিৎসা (Treatment) শুরু করা হয়। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না দাঁতালটি। টানা চার দিন চিকিৎসা চলতে চলতেই মৃত্যুর (Death) কোলে ঢোলে পড়ে সে। বনদপ্তর সুত্রে জানা যায়, মৃত দাঁতালের বয়স ১২ বছর। সঙ্গিনী দখলের জন্য অন্য এক হাতির সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই হয়েছিল তার। বা এলাকা দখলের লড়াইও হতে পারে। সেই যুদ্ধে অন্যের আঘাতে হাতিটির কোমর ভেঙে গেলে সে পরাজয় স্বীকার করে নেয়।
অবশেষে বনদপ্তরের নজরে এলেও শেষ রক্ষা হলো না। তিতির জঙ্গলে হলং নদীর পাড়েই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল পরাজিত দাঁতাল। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পশু চিকিৎসক উৎপল শর্মা বলেন, “কোমর ভাঙলেই শুঁড় দিয়ে তেড়ে আসতো দাঁতাল হাতিটি। তাই এর চিকিৎসা করাও শক্ত কাজ ছিল। কিন্তু তবুও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলাম। কিন্তু পারলাম না। হেরে গেলাম আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.