বাবুল হক, মালদহ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের ‘ঠুমকা’ মন্তব্যের জের। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে দিল্লিতে আছড়ে পড়েছে তৃণমূলের আন্দোলনের ঝড়। আর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে মালদহের জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। পালটা জবাব গেরুয়া শিবিরের।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। বলিউড শিল্পীদের সঙ্গে থিম সংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশগ্রহণ করেন। তা নিয়েই বুধবার ‘বেলাগাম-কুরুচিকর’ আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে। সংসদভবন চত্বরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করেন, “গোটা বাংলা দুর্নীতিতে জড়িত। গরিব মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী সলমনের সঙ্গে নাচছেন। মুখ্যমন্ত্রী উৎসব করছেন, ঠুমকা লাগাচ্ছেন, এটা উচিত নয়। ফেস্টিভ্যালে ঠুমকা লাগানো কতটা জরুরি?” যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের জেরে চাপে পড়ে রাতে গিরিরাজ ডিগবাজি খেয়ে বলেন, ‘‘আমি ঠুমকা বলিনি।’’ অবশ্য তাঁর আগের যে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে এখনও ‘ঠুমকা’ শব্দটি রয়েছে।
একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে এমন কুৎসিত মন্তব্য করা যায় কি না, তা নিয়েও দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। পালটা আক্রমণে সোচ্চার হন তৃণমূলের মন্ত্রী ও সাংসদরা। ওই মন্তব্যের জেরে মোষের মতো লাঠিপেটা করে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের তাড়ানোর হুমকি দেন তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের জামা খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। “বাংলায় আসলে জামা খুলে শিক্ষা দেওয়ার”, কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলেও আরও একবার সরব হন তৃণমূল নেতা। তাঁকে পালটা জবাব দেয় গেরুয়া শিবির। “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি”, বলেই তোপ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.