বাবুল হক, মালদহ: স্কুলের পোশাক পরে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে গান রেকর্ডের ঘটনায় চতুর্দিকে সমালোচনার ঝড়। চাপের মুখে মুচলেকা লিখে ক্ষমা চাইল মালদহের বার্লো গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ওই চার পড়ুয়া। শনিবার স্কুলে একটি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল চার ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা। ক্ষমা চাওয়ার পরে তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি দেন প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলে আসার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেও ক্ষমা চায় তারা। অশ্লীল ওই ভিডিও আর শেয়ার না করার অনুরোধ জানিয়েছে চার ছাত্রী।
শুক্রবার দিনভর রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসব নিয়ে সরগরম ছিল সর্বত্র। নেটদুনিয়াতে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। তারই মাঝে আবারও সামনে আসে রবীন্দ্রসংগীত বিকৃত করার অভিযোগ। নাম জড়ায় মালদহের বিখ্যাত বার্লো গার্লস হাইস্কুলের। ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির চার পড়ুয়া অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে রবীন্দ্রসংগীতকে বিকৃত করে। তাদের গানের ওই ভিডিও নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবের বিতর্কের মাঝে এই ভিডিও যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো। উত্তেজিত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা। ওই ভিডিও নজরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের। শনিবার এ নিয়ে বৈঠকেরও সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার। সেই মতো এদিন বৈঠক হয় স্কুলে। ওই চার ছাত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাদের অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষিকার সামনে মুচলেকা লিখে ক্ষমা চায় তারা। অবশেষে তাদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন প্রধান শিক্ষিকা।
এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্ষমা প্রার্থনা করে ওই চার ছাত্রীর মধ্যে দু’জন। তাদের বক্তব্য, স্কুলের অসম্মান হোক, তা তারা চায়নি। নিতান্তই মজার ছলে ভিডিওটি শুট করেছিল। কিন্তু কীভাবে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হল, সেই প্রসঙ্গে কিছুই জানে না বলেও দাবি এক ছাত্রীর। কিন্তু যা হয়েছে, তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্কুলের ছাত্রী, প্রাক্তনী ও শিক্ষিকাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে তারা। এও জানিয়েছে, একবার ভুল করলে সবাইকেই তো দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের ক্ষেত্রে কি শেষ সুযোগও দেওয়া হবে না। নেটিজেনদের কাছে তাদের আবেদন, ‘ভিডিওটি আর না ছড়িয়ে মুছে ফেলুন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.