বাবুল হক, মালদহ: ১০ টাকার নোট ছড়িয়ে ব্যাংকের মধ্যে ২০ হাজার টাকার কেপমারি। তবে টাকা হাতালেও পালাতে পারল না দুই মক্কেল। ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য গাহকদের চেষ্টায় হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল। ততক্ষণে খবর গিয়েছে স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের থেকে চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে টাকা হাতানোর দৃশ্য। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃতরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার ইউকো ব্যাংকের শাখায়।
জানা গিয়েছে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে স্থানীয় লক্ষ্মী কলোনির বাসিন্দা কৃষ্ণদেব রায়ের। তিনি এদিন ব্যাংকে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা তোলেন। যার মধ্যে ৫০০-র নোটে ২০ হাজার টাকা ও ১০০-র নোটে বাকি ২০ হাজার। কাউন্টারের পাশেই রয়েছে গ্রাহকদের বসার জায়গা। সেখানে বসে টাকা গুনছিলেন কৃষ্ণদেববাবু। ব্যাংকে তখন গ্রাহকদের ভিড়। সেই ভিড়েই মিশে ছিল দুই অভিযুক্ত। কৃষ্ণদেববাবু যখন টাকা গুনছেন তখন তা ভালভাবেই লক্ষ করে তারা। বেঞ্চে ৫০০ টাকার ২০ হাজারের বান্ডিলটি রেখে বাকিটা গুনতে বসেন। ১০০ টাকার বান্ডিল তাঁর কোলের উপরে ছিল। তারই একটি খুলে গুনতে শুরু করেন কৃষ্ণদেববাবু। পাশে রাখা ২০ হাজারের দিকে নজর ছিল না। এই সুযোগের অপেক্ষা করছিল অভিযুক্তরা। টাকা গোনায় মন দিয়েছেন কৃষ্ণদেব রায় বুঝতে পেরেই একজনের ইশারায় দ্বিতীয় জন তাঁর পায়ের কাছে বেশ কয়েকটি ১০ টাকার নোট ছড়িয়ে দেয়। কী পড়ল দেখতে চশমা ঠিক করে পায়ের দিকে তাকান ওই গ্রাহক। সেই মুহূর্তেই পাশে রাখা ৫০০-র নোটের বান্ডিলটি হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে দুই মক্কেল। ততক্ষণে হুঁশ ফিরেছে কৃষ্ণদেব রায়ের। কেপমারির শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরেই চেঁচামেচি শুরু করেন। এদিকে ব্যাংকে ভিতরে গ্রাহকের চিৎকার শুনতে পেয়ে গেট আটকে দিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে উপস্থিত গ্রাহকরাও দুই চোরকেই হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। খবর যায় ওল্ড মালদহ থানায়। পুলিশ এসে ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে। তাতে কেপমারির দৃশ্য ধরা পড়েছে। তবে ধৃতদের থেকে চুরি যাওয়া ২০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়নি। ওইটুকু সময়ের মধ্যে সেই টাকা তারা কোথায় পাচার করল বুঝতে পারছে না পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.