বাবুল হক, মালদহ: কালিয়াচক (Kaliachak) হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। আসিফের বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁদের দেহে মেলেনি মাদক। রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে আসিফের বাবা-মাকে। তাঁদের শরীরে মিলেছে ধস্তাধস্তির চিহ্নও।
গ্রেপ্তারির পর দফায় দফায় জেরা করা হয়েছিল আসিফ মহম্মদকে। সে জানিয়েছিল, বাবা-মা, বোন ও ঠাকুরমাকে খুনের আগে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ অর্থাৎ মাদক মিশিয়ে খাইয়ে ছিল। কিন্তু চারজনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ফের ধন্দে পড়েছেন তদন্ত অফিসাররা। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মাদকের উল্লেখ নেই। চিকিৎসকদের কথায়, দেহগুলি প্রায় পৌনে চার মাস আগের। এত দিন পর পাকস্থলীতে বিষ বা মাদকের উপস্থিতি জানা যায় না। ভিসেরা রিপোর্টেও মাদকের উপস্থিতি না-ও মিলতে পারে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায় বলেন, “পচাগলা দেহে ওসবের অস্তিত্ব বোঝা যায় না।” কিন্তু শ্বাসরোধ করে খুনের বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
এবিষয়ে মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার অশোক রাজোরিয়া জানান, “ধৃত আসিফের জবানবন্দির সঙ্গে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের বেশকিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। আসিফের মৃত বাবা ও মায়ের গলায় ক্ষতের চিহ্ন ছিল বলে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ওই দু’জনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পুলিশি জেরায় বা ঘটনার পুননির্মানের সময় এমন কোনও তথ্য আসিফ পুলিশকে দেয়নি।” মৃত্যুর আগে ঠিক কী ঘটেছিল বাবা মায়ের সঙ্গে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় দাগ মেলার পর ধন্দে রয়েছে পুলিশ। যদিও বোন ও ঠাকুমার রিপোর্টে তেমন কিছু আসেনি। বাবা, মায়ের গলায় দাগ কীভাবে এল তা নিয়ে ফের আসিফকে জিঞ্জাসাবাদ করবে পুলিশ। বর্তমানে আসিফ জেল হেপাজতে রয়েছে। ১৭ জুলাই ফের তাকে আদালতে তোলা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.