Advertisement
Advertisement
মালদহ

কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে বাংলাদেশিকে পালাতে ‘সাহায্য’! ক্লোজ ইংরেজবাজার থানার আইসি

তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ডও করেছে মালদহ জেলা পুলিশ।

Maldah district police closed IC of English Bazar Police Station
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 8, 2020 8:51 am
  • Updated:March 8, 2020 8:51 am  

বাবুল হক, মালদহ: জমি সংক্রান্ত একটি ঘটনার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে ইংরেজবাজার থানার তিনজন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল মালদহ জেলা পুলিশ। পাশাপাশি ওই থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকেও ক্লোজ করা করা হয়েছে। আইসিকে বসিয়ে তাঁর জায়গায় অস্থায়ী আইসি’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিগুণা রায়কে। এই ঘটনায় জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক মহলে জোর শোরগোল। তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড এবং আইসি’কে কেন ক্লোজ করা হল, তা এখনই জানাতে চান না পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।

সূত্রের খবর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকারের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ইংলিশবাজার থানার তিনজন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড এবং আইসি’কে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কিত সমস্ত কিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ আধিকারিকের নাম সুবীর সরকার, নরবু ডুগপা এবং তনয় চক্রবর্তী। তাঁরা সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদায় থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। ক্লোজ করা হয়েছে আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গণবিবাহের আসরে সর্বধর্ম সমন্বয়, সম্প্রীতির অনন্য নজির জিতেন্দ্র তিওয়ারির]

মালদহ শহরের নেতাজি সুভাষ রোড সংলগ্ন একটি ট্রাস্ট বোর্ডের মালিকানায় এক বাংলাদেশি নাগরিকের নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই বাংলাদেশির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। প্রশ্ন ওঠে ওই বাংলাদেশি নাগরিক কী করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেলেন? ট্রাস্টি বোর্ডের মালিকানার দায়িত্ব নিয়ে ওই বাংলাদেশি বিপুল মাপের জমি বিক্রির করে ভারতীয় অর্থ বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই বাংলাদেশিকে কিছুদিন আগেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। কিন্তু ওই বাংলাদেশি পুলিশের গাফিলতিতে জামিনে মুক্তি পেয়ে ওপারে পালিয়ে গিয়েছে। আর এর পিছনে কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের গন্ধ পেয়ে তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। সেই ঘটনার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে তিনজন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। ক্লোজ করা হয়েছে আইসিকেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement