বাবুল হক ও সুজিত মণ্ডল: ফের রাজস্থানে কাজ করতে বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু। ঘটনাচক্রে, মৃত শাকিব শেখ মালদহের বাসিন্দা। পরিবারের লোকেদের দাবি, জয়পুরের বাড়িতে সাকিবের রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, রাজস্থান প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। সাকিবের দেহ নিয়ে মালদায় উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে তাঁর বন্ধুরাই। এদিকে, আবার মহারাষ্ট্রে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ নদিয়ার যুবক অমিত দাস। এ রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রানাঘাটের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ পরিবার।
[বন্দি-কারারক্ষী সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হুগলির জেল, মুড়ি মুড়কির মতো পড়ল বোমা]
ডিসেম্বরেই রাজস্থানে মালদহের কালিয়াচকের মহম্মদ আফরাজুলকে খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। লাভ জেহাদের অভিযোগে মাঝবয়সি ওই বাঙালি শ্রমিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছিল এক যুবক। পরে তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়। নৃশংস সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়েছিল ইন্টারনেটে। ফের বিজেপিশাসিত ওই রাজ্যে মারা গেলেন মালদহেরই এক যুবক। মৃত শাকিব শেখের বাড়ি চাঁচোলের স্বরূপগঞ্জে। পরিবারের লোকেদের দাবি, বুধবার শাকিবের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন তাঁরা। জয়পুরের বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, ওই বাঙালির যুবকের মৃত্যু ঘটনায় রাজস্থান প্রশাসন কোনওরকম সাহায্য করেনি। শাকিবের মৃতদেহ নিয়ে মালদায় উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তাঁর বন্ধুরাই। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মাস খানেক আগে শ্রমিকের কাজ করতে রাজস্থানে গিয়েছিলেন শাকিব শেখ। এদিকে ঘটনার কথা জানতে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় সিপিএম নেতারা।
[৪৮ ঘণ্টায় রহস্যের সমাধান, শিলিগুড়ি হাসপাতালে শিশু চুরির ঘটনায় মহিলা-সহ ধৃত ২]
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন নদিয়ার যুবক অমিত দাস। প্রায় ছয় মাস ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের লোকেদের দাবি, গত জুন মাসে রথের দিন শেষবার ফোনে অমিতের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। এরপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। অমিতের ফোন বন্ধ। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ধানতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। গত ১৬ জানুয়ারি রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।
[অজানা চোরের আতঙ্কে তটস্থ বাঁকুড়াবাসী, বিভ্রান্তিতে নাজেহাল পুলিশও]
জানা গিয়েছে, ধানতলার আড়ংঘাটার হরনাথপাড়ার বাসিন্দা অমিত দাস। পেশায় শাড়ি বিক্রেতা। বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে শাড়ি বিক্রি করতেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বছর দেড়েক আগে মহারাষ্ট্রে শাড়ি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন অমিত। কিন্তু, নোট বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়েন তিনি। বাধ্য হয়েই স্থানীয় একটি গুদামে কাজ নেন বছর আটতিরিশের ওই যুবক। বাড়িতেও নিয়মিত টাকাও পাঠাতেন। কিন্তু, অমিত যে গুদামে কাজ করতেন, সেই গুদামে আগুন লেগে যায়। কাজ হারান তিনি। তবে মহারাষ্ট্রেই থেকে গিয়েছিলেন অমিত। বাড়ি ফেরেননি। এখন অমিত নিথোঁজ হওয়ায় চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা।
ছবিঃ সুজিত মণ্ডল
[পাঁচিল টপকে জেলে উড়ে আসছে মোবাইল! জলপাইগুড়িতে জালের ঘেরাটোপ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.